Noise Pollution : দুর্গাপুজোয় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ প্রশাসনের, স্বাগত জানাল সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন – east medinipur sound owners association meeting to control noise pollution


আর কয়েকমাসের মধ্যেই দুর্গা পুজো সহ হিন্দু মুসলিম ধর্মসম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটিই অভিযোগ বারেবারে ওঠে তা হল উচ্চস্বরে মাইক বা ডিজের তাণ্ডব। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। আর ঠিক এই কারণে বুধবার পাঁশকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঁশকুড়া থানা জোনের একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হল।

মাইক চালানোর ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম বিধি নিয়ম মানতে হবে, সেই বিষয়কে সামনে রেখেই এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়া থানার IC আশিস মজুমদার। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

Dengue Fever : হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, আতঙ্ক হুগলি জেলাজুড়ে
মূলত এদিন পূর্ব মেদিনীপুর সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, এই বছর থেকে দুর্গাপুজোয় পাঁশকুড়া থানা জোন এলাকায় ডিজে মেশিন বাজানো হবে না। যদি কেউ ডিজে মাইক বাজায় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে নজর থাকবে। পাশাপাশি পুজো কর্মকর্তাদেরও ডিজে মাইক ব্যবহার না করার জন্য আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

Bjp West Bengal : বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে সভা শুভেন্দুর, শেষ মুহূর্তে অনুমিত না মেলার অভিযোগ BJP-র
পুজোয় সুস্থ পরিবেশ রাখার জন্য মাইক ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই বিষয়ে সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আগেই বলা হয়েছে এই ব্যাপারে। আজ আমরা নিজেরা এক সভা করে বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। ঠিক করেছি কোনও ডিজে বক্স ভাড়া দেওয়া হবে না। আর খুব জোরে সাউন্ড হয়, এমন বক্সও এবার কোনও পুজো কমিটিকে ভাড়া দেওয়া হবে না। কোনও মালিকই যেন এই কাজ না করেন, সেকথা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে।’

Howrah Mangla Haat : ১০ দিনেও সরেনি মঙ্গলাহাটের ধ্বংসস্তূপ! সংসার টানব কীভাবে? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের
রাত ১০ টার পরে খোলা জায়গায় মাইক বাজিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, কাগজে-কলমে নিয়ম চালু আছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু সেই নিয়ম-বিধির তোয়াক্কা না করেই রাতবিরেতে যথেচ্ছ মাইক বাজানো হয়। শব্দের দাপটে বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ভীষণ অসুবিধা হয়। উৎসবে তো বটেই। উৎসব না থাকলেও তারস্বরে মাইক বাজিয়ে রাতভর হুল্লোড় চলে অনেক মহল্লায়। তাতে শুধু যে ঘুম নষ্ট বা পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তা নয়। প্রাণহানিও ঘটছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *