মাইক চালানোর ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম বিধি নিয়ম মানতে হবে, সেই বিষয়কে সামনে রেখেই এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়া থানার IC আশিস মজুমদার। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
মূলত এদিন পূর্ব মেদিনীপুর সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, এই বছর থেকে দুর্গাপুজোয় পাঁশকুড়া থানা জোন এলাকায় ডিজে মেশিন বাজানো হবে না। যদি কেউ ডিজে মাইক বাজায় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে নজর থাকবে। পাশাপাশি পুজো কর্মকর্তাদেরও ডিজে মাইক ব্যবহার না করার জন্য আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।
পুজোয় সুস্থ পরিবেশ রাখার জন্য মাইক ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই বিষয়ে সাউন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আগেই বলা হয়েছে এই ব্যাপারে। আজ আমরা নিজেরা এক সভা করে বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। ঠিক করেছি কোনও ডিজে বক্স ভাড়া দেওয়া হবে না। আর খুব জোরে সাউন্ড হয়, এমন বক্সও এবার কোনও পুজো কমিটিকে ভাড়া দেওয়া হবে না। কোনও মালিকই যেন এই কাজ না করেন, সেকথা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে।’
রাত ১০ টার পরে খোলা জায়গায় মাইক বাজিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, কাগজে-কলমে নিয়ম চালু আছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু সেই নিয়ম-বিধির তোয়াক্কা না করেই রাতবিরেতে যথেচ্ছ মাইক বাজানো হয়। শব্দের দাপটে বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ভীষণ অসুবিধা হয়। উৎসবে তো বটেই। উৎসব না থাকলেও তারস্বরে মাইক বাজিয়ে রাতভর হুল্লোড় চলে অনেক মহল্লায়। তাতে শুধু যে ঘুম নষ্ট বা পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তা নয়। প্রাণহানিও ঘটছে।