Packaged Drinking Water : বোতলবন্দি জলেও শরীরে ঢুকছে ‘বিষ’! রাজ্যকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের – new garia to airport metro corridor 318 number pier construction has been completed at kolkata chingrighata crossing


কথায় বলে জলের অপর নাম জীবন। অর্থাৎ, জল ছাড়া কোনও প্রাণীরই বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। অথচ সেই পানীয় জলের মাধম্যেই কার্যত শরীরে ঢুকছে ‘বিষ’। আর সেই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় এক জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার সূত্র ধরে এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

কয়েক বছর ধরে বাজারে রমরমা বেড়েছে প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের। ট্রেন, বাস হোক বা ছোট বড় দোকান, সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে এই ধরণের বোতলজাত পানীয় জল। কিন্তু সেই জল কী আদৌ পরিশ্রুত বা পান করার যোগ্য? এই প্রশ্নের উত্তরে এবার মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে আইনসম্মত পানীয় জল তৈরির সংস্থা বা ইউনিটগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, রাজ্যের সর্বত্র সর্বদা নজরদারি চালিয়ে বেআইনি জলের ইউনিটগুলি বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছে।

Food Inspector Recruitment : ‘কেন রেকর্ড নেই-কী করেন?’ বেআইনি নিয়োগ অভিযোগ মামলায় রাজ্যের কর্তাকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
এই বিষয়ে প্রায় বছর দুয়েক আগে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযোগ ছিল, রাজ্যে কুটির শিল্পের মত বেআইনি জল কারখানা গজিয়ে উঠেছে। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম উপায়ে শোধন করে তা বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলাকারী। এমনকী ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (fssai), ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড(BIS) ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই কারখানা বা ইউনিটগুলি চলছে বলেও দাবি করা হয় মামলায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতে মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায়, এই বেআইনি কারবার রুখতে ইতিমধ্যেই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অধীনে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। রাজ্য আরও জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৩৪০টি জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮০টি নমুনা পরীক্ষাও করা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পদক্ষেপে আদালত কিছুটা আস্বস্ত হলেও, বেআইনি এই ব্যবসা ঠেকাতে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Ferry Service : ফেরি পরিষেবায় নেই নির্দিষ্ট ‘ফেয়ার চার্ট’! দুই জেলার DM-কে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, বিগত কিছু বছরে ব্যাপক পরিমানে বেড়েছে প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের চাহিদা। এমনকী প্লাস্টিকের জারে ভর্তি জলেরও চাহিদাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। তার প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *