সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য প্রাইভেট টিউশনি করা নিষিদ্ধ। রাজ্যে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করা অবৈধ বলে আগেই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ২০১৮ সালে জারি করা রুল অনুযায়ী, পর্ষদের আওতাভুক্ত সরকারি স্কুল বা সরকার পোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা নিজের বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়ালে তা নিয়মবিরুদ্ধ। এরপরেও কেউ প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে গেলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
চলতি বছরের মে মাসে স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করানো নিয়ে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরে ফের নড়চড়ে বসে স্কুল শিক্ষা দফতর।
প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস জানিয়েছিলেন, অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জেলায় জেলায় প্রাইভেটে পড়ানো শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করবে বলে জানান। উল্লেখ্য, একটি সংস্থার তরফে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানানো হয়, যে সরকারি স্কুলের অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই প্রাইভেটে পড়াচ্ছেন। অনেকের বিরুদ্ধে আবার স্কুলের পড়ুয়াদের প্রাইভেটে এসে পড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করারও অভিযোগ ওঠে। এই মর্মেই দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা। আদালতের নির্দেশেই জেলায় জেলায় নিয়মভাঙা শিক্ষক শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সিংহভাগ সরকারি স্কুল শিক্ষকের প্রাইভেটে পড়ানোর নজির মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার বলে খবর। স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট-এ পড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করতেই কঠোর হচ্ছে স্কুল শিক্ষা দফতর।