মৃত ওই গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্বামী সঙ্গে তাঁর বচসা হয় বলেও জানা গিয়েছে। এরপর ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের কাছে খবর যায় যে তাদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ পাওয়া যায়নি৷ এরপর বুধবার সকালে মোলানি এলাকায় একটি জলাশয় থেকে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
মৃত বিউটির পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে জলাশয়ে ফেলে দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় চোপড়া থানার পুলিশ। এবিষয়ে মেয়ের পরিবারের তরফে চোপড়া থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান মৃত গৃহবধূর দাদা মহম্মজ মুস্তাফা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে আকবের পরিবার।
আকবরের পরিবারের বক্তব্য, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়, তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। তাকে খুঁজতে যায় ওই গৃহবধূর স্বামী আকবর আলি। সেও বাড়ি ফেরেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার দাদা মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘গতকাল সকাল আটটার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। আমার বোন হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে খবর পাই যে জলাশয় থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন। কিন্তু এটা মোটেই আতহত্যা নয়। দেহ দেখেই বোঝাই যাচ্ছে যে এটা খুনের ঘটনা।’
অন্যদিকে মৃত গৃহবধূর স্বামীর এক আত্মীয় বলেন, ‘কী কারণে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে সেটা বলতে পারব না। ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ওঁর স্বামী আকবরও ওঁকে খুঁজতে গিয়ে এখনও ফিরে আসেনি। তিন বছরে আগে ওঁরা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। জানি না, এই সামান্য কারণে কেন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেল।’