তদন্ত নেমে প্রথমে ৭ টি ও পরে আরও ৩ টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনে আরও একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে সেই ঘর থেকে একটি বোমা উদ্ধার করে। মোট ১০ টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা মমতা রায় ভৌমিক বলেন, ‘সকাল বেলা ঝিঙে তুলতে গিয়েছিলাম।
জানলার দিকে তাকাতেই দেখি সুতলি দড়ি দিয়ে বাঁধা বোমা পড়ে রয়েছে। আগে এই এলাকায় কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। দেখেই ভয় পেয়ে যাই। ছুটে এসে সবাইকে এই ঘটনা জানাই’। আনন্দমঠের বাসিন্দা রিঙ্কি সামন্ত বলেন, ‘আগে কোনওদিনও এই ধরনের বোমা দেখিনি। হঠাৎ দেখে হাত পা কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে।
পাড়ার প্রতিবেশীরা সবসময় এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন। কিন্তু পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে কোনোদিনও কাউকে নামতে দেখিনি। তবে রাতের দিকে কেউ যাতায়াত করে কিনা সেটা বলতে পারব না। দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি।
হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে গেলে কি হতো ভেবেই ভয় লাগছে। আমাদের বাচ্চারা রয়েছে এখানে। বেশ ভয়ই লাগছে। পুলিশকে বলেছি আমাদের নিরাপত্তা দিতে’। গত দশ বছরের বেশি সময় ওই বাড়িতে কেউ থাকে না বলেই জানা গিয়েছে।
বন জঙ্গলে ভরে থাকা সেই বাড়িতেই দুষ্কৃতীদের আনাগোনা ছিল কিনা তা অবশ্য বলতে পারেননি কেউই। পরিত্যাক্ত ঘর থেকে ১০ টি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। কোথা থেকে এগুলি এলো? কেউ রেখে গেল কিনা, সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
যদিও এই বিষয়ে পুলিশ এখনই মুখ খুলতে চাইছে না। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় আগে কখনও বোমা উদ্ধার হয়নি, বা রাজনৈতিক হিংসাও দেখা দেয়নি। তাই শান্ত এই এলাকা নতুন করে অশান্ত হতে চলেছে কিনা, তা নিয়েই আতঙ্কে এলাকাবাসী।