সেই সিটে সিআইডি’র এক অফিসারের সঙ্গেই কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকেও যুক্ত করা হয়। ১৪ জুলাই সিট-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু রাজ্যের আপিল মামলার জেরে সিট-এর তদন্ত কার্যত শুরুই হয়নি। এ দিকে গত ২০ দিন ধরে রাজ্যের আপিল মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির তালিকায় রয়েছে।
কিন্তু সময়ের অভাবে এতদিন শুনানি হয়নি। বুধবার দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। রাজ্যের এক আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল সম্রাট সেন এই মামলায় সওয়াল করবেন। অসুস্থতার কারণে বুধবার তিনি অনুপস্থিত। তাই এ দিন মুলতুবি করা হোক শুনানি। বিরক্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, দিনের পর দিন এটা হতে পারে না। আবার কবে মামলাটি উঠবে, কেউ জানে না। বার বার এ ভাবে সময় নেওয়ার প্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এই ভাবে সময় নেওয়ায় অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল পদের গরিমাও নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
সরকারি কৌঁসুলিদের এমন ভাবে সময় নেওয়ার জেরে বহু মামলায় যে সরকারের মুখও পুড়ছে, তা মানছেন সরকারি অফিসাররা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি প্যানেলভুক্ত বহু আইনজীবী অন্য আদালতে ব্যক্তিগত মামলা করতে গিয়ে হাইকোর্টে সরকারের মামলায় গরহাজির থাকছেন। এই নিয়ে সরকারের শীর্ষস্তরে হেনস্থা হতে হয় আমলাদেরই। কিন্তু প্রভাবশালী কৌঁসুলিরা খুঁটির জোরে পদ ধরে রেখে সরকারকে বার বার অপ্রস্তুত করায় বিরক্ত আমলারাও।