সেই সময় ওই ৭ জনের দুষ্কৃতী দল তাঁদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে নিচের একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ। চিৎকার করলে গুলি মারার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই ৪ জন শ্রমিকের কাছে থেকে একটি মোবাইল ফোনও ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ। সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
খবর পেয়ে সোনার দোকানের মালিক ও পরিবারের সকলে দোকানে এসে দেখে শাটার কেটে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। দোকানের একাধিক CCTV-ও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও সোনার দোকানের লকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রানাঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ এসে তদন্তে নেমে এলাকার গোটা CCTV-র ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। দোকান থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় সোনার দোকানের ভাঙা লকার। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ডাকাতদের হাতে আক্রান্ত শ্রমিক আক্কাস আলি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা যেমন ঘুমাই, সেরকম গতকাল রাতেও ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘুমের মধ্যেই টের পাই কয়েকজন ছাদে উঠে এসেছে। এসেই আমাদের কপালে বন্দুক ঠেকায়। আর আমাদের বেঁধে নিচে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দেয়। সকালে স্থানীয়রা এসে আমাদের বাঁধন খুলে ছাড়িয়ে বের করেন’। এই ডাকাতির ঘটনায় সোনার দোকান মালিকের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা থেকে তিনি বেরিয়ে আসবেন, তা এখন ভাবতেই পারছেন না।
মালিক বলেন, ‘প্রায় ৭০ লাখ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছে। কোথায় গিয়েছে, কোন দিকে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে, আদৌ এদিকে আছে নাকি সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে, কিছুই জানিনা। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেল’।