Teacher Posting Scam: ‘নিউ ব্র্যান্ড অফ স্ক্যাম’! শিক্ষক পোস্টিং দুর্নীতিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের – supreme court give interim stay on justice abhijeet ganguly order in teacher posting scam


শিক্ষক নিয়োগের স্তরে স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষকদের পোস্টিংয়েও টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলার শুনানিতে রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলায় ইডি ও সিবিআই, দুই সংস্থাকেই তদন্ত করার নির্দেশ দেন। বলেন- তারা চাইলে এফআইআর করেও তদন্ত করতে পারে। সেই মামলা এদিন পৌঁছেছিল সু্প্রিম কোর্টে। ২০২০ সালের পোস্টিং মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অতএব পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতির মামলা শুনবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Abhishek Banerjee High Court : ‘ED-কে লিখিতভাবে জানাতে হবে…’, আদালতে পিছোল অভিষেক মামলার শুনানি

সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাপক দুর্নীতি সামনে আসে। জেলায় শূন্যস্থান থাকা সত্ত্বেও আসনটি বিক্রি করার জন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর থেকে লুকিয়ে পরে প্রকাশ করা হত বিজ্ঞপ্তি। অভিযোগ, বিষয়টিতে মাস্টার মাইন্ড ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ বিস্তারিত শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এত পরিকল্পিত দুর্নীতি, নিউ ব্র্যান্ড অফ স্ক্যাম। সেদিনই এক ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে সিবিআই ও ইডি-কে ডেকে পাঠান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের এফআইআর করে তদন্ত করতে বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং একইসঙ্গে সেদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে প্রাক্তন পর্যদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন।

Private Tutor Jobs: সরকারি শিক্ষকদের ‘মাদুর শিল্পে’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? প্রাইভেট টিউটরদের তালিকা তৈরি করছে রাজ্য

Teacher Recruitment Scam : আচমকা থানা থেকে ফোন! ‘শিক্ষক না অপরাধী’?

আদালতে ২০২০ সালের চাকরিপ্রার্থীর আদালতে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছিল। বীরভূম, মুশিদাবাদ, বাঁকুড়া, হুগলির শিক্ষকরা অভিযোগ করেন নিজের জেলায় সাধারণ প্রার্থীদের জন্য শূন্যপদ থাকা সত্ত্বে মিথ্যে কথা বলে তাদের দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তা লুকিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে। জেলায় আসল শূন্যপদ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। টাকার বিনিময়ে ওই আসন প্যানেলে থাকা অন্য প্রার্থীদের দেয়। এই অভিযোগ পেয়েই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে ইডি-কেও তদন্ত করে দেখতে বলেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *