অয়ন ঘোষাল: অগ্নিগর্ভ বেহালা। শুক্রবার সকালে বেহালা চৌরাস্তার সামনে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক স্কুলছাত্র ও তাঁর বাবার। ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে বেহালা থানার পুলিসের তত্ত্বাবধানে ওই শিশুর দেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিসের গাড়ি এবং বাইকে। বেহালার বিরেন রায় রোড প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস।
জানা গিয়েছে শুক্রবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল বরিশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। ঠিক সেই সময় বেহালা চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাদের দুজনেরই। সকাল সাতটা দশে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছিল পরীক্ষা দিতে স্কুলে আসছিল সে। ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
জানা গিয়েছে স্কুলের সামনের ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরেই উত্তেজিত জনতা একটি পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya: ‘যদি এমনই থাকেন, তাহলে আশা করছি আর ক্রাইসিস অবস্থায় ফিরে যাবেন না’
ওই শিশুর মৃতদেহ রাস্তায় রেখেই বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ভ্যান-বাইকে। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুরও করা হয়। স্থানীয়দের মানুষের এই বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার রোড। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় পুলিসের তরফে। ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ওই শিশুর মৃত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। পুলিসে অনুমান এরপরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। রাস্তা থেকে জনতাকে সরিয়ে ফের রাস্তা চালু করার চেষ্টা করছে পুলিস। স্থানীয় মানুষের দাবি স্কুল পড়ুয়া অন্যান্য বাচ্চাদের উপস্থিতিতেই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে তাঁরা। অন্য দিকে বরিশা হাই স্কুলের সামনে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সেখানে পরিস্থিতি সামলাতে জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে এই রাস্তা আটকে রেখে কোনও লাভ নেই। রাস্তা পরিষ্কার করে গাড়ি চলাচল শুরু করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Duare Sarkar: পুজোর আগেই রাজ্যে ফের চালু ‘দুয়ারে সরকার’, নতুন কী পরিষেবা মিলবে এবার?
স্থানীয় মানুষের দাবি শুক্রবার সকাল পুরসভার মাটি বোঝাই একটি লরি ধাক্কা মারে ওই পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর বাবা। এলাকার মানুষের দাবি দুর্ঘটনার পরে লড়ি চালককে ছেড়ে দেয় পুলিস। এই ঘটনায় দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।