প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছে জেলার সদাইপুর এলাকা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বহু অবৈধ কয়লা বোঝাই ট্রাক্টর, মোটর সাইকেল, পিক আপ ভ্যান আটক করেছে পুলিশ। এমনকি মোষের গাড়িতেও কয়লা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পাচারকারীরা। সদাইপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার সদাইপুর থানার পুলিশ অবৈধ কয়লা আটক করেছে। কিন্তু কি কারণে বারবার এই অবৈধ কয়লা পাচারের চেষ্টা? বীরভূম জেলার এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক এই বিষয়ে বলেছেন, ‘সদাইপুর ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছু অবৈধ কয়লাখনি রয়েছে। যেখান থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাতের অন্ধকারে কয়লা পাচার করা হয়।
এই কাজে পাচারকারীরা অনেকবার সফলও হয়, আবার কোনও সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পাচারকারীদের ধরে ফেলে। এই অবৈধ কয়লাখনিগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলিকে খুঁজে বের করে বন্ধ করা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’। জানা যায়, কয়লা পাচার করতে পাচারকারীরা জঙ্গলের চোরা পথ বেছে নিয়েছে।
কিন্তু কয়লা পাচার রুখতে সদা সচেষ্ট রয়েছে সদাইপুর থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের লাগাতার অভিযানের পরেও নিত্য নতুন কায়দায় কয়লা পাচার চলছে জেলার একাধিক জায়গায়, অভিযোগ উঠেছে এমনই। তবে পুলিশ পুলিশ আগামী দিনেও লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।