নবান্নের কর্মীদের দ্রুত ও তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেখানকার ক্লিনিকে বসতে চলেছে মাল্টিপারপাস টেস্ট মেশিন। শ’খানেকের বেশি হেলথ প্যারামিটার পরীক্ষা করা যাবে এতে। রিপোর্টও মিলবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। শুধু নবান্ন নয়। কলকাতা পুরসভা, স্বাস্থ্যভবন, এসএসকেএমের পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি ভবনে বসছে ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের অত্যাধুনিক এই যন্ত্র।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের রোগীদের অনেক সময়েই লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করাতে বলেন চিকিৎসক। টেস্টটি ভালো ভাবে করানোর অন্যতম শর্ত হলো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ফাস্টিং। তার পর রক্ত দিতে হয়। নমুনা বিশ্লেষণ করে এলডিএল কোলেস্টরল, এইচডিএল কোলেস্টরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদির রিপোর্ট মেলে। সাধারণত ক্লিনিকগুলিতে রোগীদের এই টেস্ট রেজাল্ট মিলতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে, কখনও দিন গড়িয়ে যায়। নয়া মেশিনে পরীক্ষার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফল মিলবে।’ রক্তে শর্করার পরিমাণ-সহ অন্যান্য আবশ্যিক পরীক্ষার রিপোর্টও পাওয়া যাবে। পরে ধাপে ধাপে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার নানা স্তরে এই যন্ত্র বসবে বলে খবর।
নবান্ন-সহ প্রস্তাবিত সব ভবনেই উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে বসানো হবে অত্যাধুনিক যন্ত্রটি। সরকারি চিকিৎসকরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকের মতে, দ্রুত পাওয়া রিপোর্ট ১০০ ভাগ ঠিক কি না, তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। তবে এ ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা কমই। অনেকে আবার মনে করছেন, এই মেশিনে কাজ করতে যে ধরনের রাসায়নিক উপাদান লাগে, সেগুলির সরবরাহে ঘাটতি যেন না হয়। তা হলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।