এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য দাবি করে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন চলাকালীন অকারণে দুজন ছাত্রীর ওপর চড়াও হয় ABVP-র বহিরাগত সমর্থকেরা। সেই সময় আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ABVP-র সমর্থকদের বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। পরে মারামারি বেঁধে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে। ABVP-র সদস্যরাই প্রথমে আমাদের গায়ে হাত তোলে।
তারপর আমরা পালটা প্রতিরোধে নামি’। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ABVP-র সদস্যরা। এক ABVP নেতা এই বিষয়ে দাবি করে বলেন, ‘বিনা কারণে আমাদের এক সমর্থককে মারধর করে TMCP-র সদস্যরা।
তারই প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদের সৃষ্টি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। যখন প্রতিবাদ করতে যাই, তখন TMCP-র কিছু সদস্য আমাদের গালিগালাজ করে। সেই থেকেই সমস্যার শুরু’। যদিও এই প্রসঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, ‘এদিনের ঘটনা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়।
অজ্ঞাত কোনও কারণবশত নিজেদের মধ্যে ছাত্ররা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে’। যদিও ওই ঘটনার পর কলেজ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন থাকে। কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে একইভাবে মধ্যমগ্রাম এপিসি কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল এই দুই ছাত্র সংগঠন। এপিসি কলেজে সদস্য সংগ্রহকে ঘিরে ABVP-র সঙ্গে TMCP-র ঝামেলা চলছিল। ABVP জানায়, ভর্তিতে টাকা চাওয়া, স্বজনপোষণ-সহ নানান অভিযোগে তাদের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গেলে TMCP আটকে দেয়।
শুরু হয় বচসা, মারপিট। কয়েক জনের মাথা, পিঠ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। মহিলাদের উপরেও আক্রমণ করা হয়। দু’পক্ষই মারামারি করতে করতে রাস্তায় উঠে আসে। চলে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি। তার পরে মধ্যমগ্রাম বিবেকানন্দ কলেজে ABVP-র উপরে TMCP হামলা চালায় বলে অভিযোগ।