এরপর উত্তম পণ্ডিতের মাংসের দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে এলে উত্তম পণ্ডিতের বাবা কাজল পণ্ডিতকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। উত্তম পণ্ডিত এই বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘BJP করার অপরাধে এর আগেও একাধিক সময় আমার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেও তৃণমূল কর্মীরা আমাকে নানান ভাবে হুমকি দিয়েছে, হেনস্থা করেছে।
কিন্তু আমি তাঁদের দাপটের কাছে মাথা নোয়াইনি। সেই কারণেই আক্রোশে আজ আমার দোকান ভেঙে দিল, আমার বাবাকেই মারধর করে আহত করেছে’। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকাছাড়া অভিযুক্তরা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত জারি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার জন্যই এই ধরনের হামলার ঘটনা দাবি BJP-র। জেলার শীর্ষস্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, ‘শুধু এখানে না, জায়গায় জায়গায় এভাবেই BJP কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে দোকান বাড়ি ঘর।
আর এদিকে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। একটা জায়গাতেও অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আর উত্তম পণ্ডিতকে তো অনেকদিন ধরে তৃণমূল টার্গেট করে নিয়েছে। তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে দাবি জানাবো’।
এদিকে, তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা দাবি করে বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। রঙ না দেখে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতেও পুলিশকে জানানো হয়েছে। সব জায়গায় রাজনৈতিক রঙ দেখা উচিৎ নয়’।