শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে শুনানির সময় শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পি এস পাটোয়ালিয়া বলেন, ‘নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর থেকেই রাজ্য প্রশাসন শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছে। মিথ্যা মামলায় শুভেন্দুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ শুনানির পর শুভেন্দুর জন্য স্বস্তিজনক রায় দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ১৯ জুলাই শুনানির সময় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে আদালতের পূর্ববর্তী রায়। বিচারপতি মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘কেউ যদি ১০ বছর পর কোনও অপরাধ করে তবে তখনও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের অনুমতি ছাড়া এফআইআর দায়ের করতে পারবে না? এমন অন্তঃসারশূন্য রায় কি আমরা খারিজ বা বাতিল করতে পারি না?’
এই মামলার শুনানির পর ২০ জুলাই পূর্ববর্তী রায় খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হলে আদালতের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়ে দেয়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আগে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে, শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না। তবে এফআইআর দায়েরের অর্থ যে গ্রেফতারি নয়, তাও বুঝিয়ে দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেওয়া প্রসঙ্গে বিচারব্যবস্থার একাংশকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে নাম করে কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে তীব্র আক্রণণ করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, বিচারব্যবস্থার একাংশের কারণে দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের রায়ের পর এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।