এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। ভিডিয়ো অনুযায়ী, চোখ বন্ধ করে সামনে পা রেখে চেয়ারে বসে রয়েছেন অনন্ত মহারাজ এবং সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন। ওই যুবক ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাতও নাড়েন। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
ঠিক কী বলেছেন উদয়ন গুহ?
তিনি বলেন, “একজন ভণ্ড স্বঘোষিত মহারাজ। ছেলের বয়সী একজনকে দিয়ে পা টেপাচ্ছে। এরা কোচবিহারের মানুষকে স্বপ্ন দেখায় এটি আলাদা রাজ্য হলে এখানকার মানুষের সুখ শান্তি বাড়বে। কখনও বলছে আলাদা রাজ্য দরকার। কখনও বলছে কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের দরকার। এদের পাল্লায় পড়লে কোচবিহারের মানুষের কী অবস্থা হবে তা ছবিটার মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে।”
পাশাপাশি অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানো নিয়েও BJP-কে তোপ দাগেন উদয়ন। তিনি বলেন, “তাঁকে BJP গণতন্ত্রের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছে। এটা লজ্জার। অবিলম্বে তাঁর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে দেওয়া দরকার। এই ধরনের ছবি যার বার হয় তাঁর মানুষের সামনে মুখ দেখানো উচিত নয়। এরা আবার মানুষের জন্য কথা বলে। এই ধরনের মানুষরা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক।”
যদিও এই ঘটনায় শারীরিক অসুস্থতাকেই সামনে রেখেছেন অনন্ত মহারাজ। তিনি বলেন, “আমার পায়ে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা রয়েছে। আমার এক আত্মীয় আমার পায়ে কবিরাজি তেল মালিশ করে দেয়। এই নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।” যাঁরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের মানসিকতা এবং উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করে লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘মাস্টারস্রোক’ দিয়েছিল BJP, এমনটাই মনে করছিল বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এরপরেই পালটা সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। ‘রাজ্যভাগের চক্রান্ত’ ইস্যুকে সামনে রেখে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের।
এদিকে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত কি ২৪-এর নিরিখে চিন্তায় ফেলবে তৃণমূলকে? এই প্রশ্নের জবাবে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “BJP ভুল বোঝাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মানুষ ধীরে ধীরে এই ভাঁওতাটা ধরতে পাচ্ছে।”
