Behala Road Accident : দখলদারি আর খোঁড়া রাস্তায় ‘নরক’ বেহালা – dh road is getting smaller due to encroachment and activities as a result accidents are increasing


এই সময়: ফুটপাথ দখল, অটো, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, হকার নিয়ে সমস্যা ছিলই। তার উপরে যে ভাবে বছরভর ডায়মন্ড হারবার রোডের দু’পাশে যত্রতত্র রাস্তার একাংশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে, তাতে ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা যেন ‘নরক’-এর আর এক নাম! এই দখলদারি এবং কর্মকাণ্ডের ধাক্কায় আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে ডিএইচ রোড। তার জেরেই সেখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ফলে স্থানীয়দের ক্ষোভটা দীর্ঘ দিনের। শুক্রবার শিশুমৃত্যুর ঘটনার পরে বেহালা চৌরাস্তায় এই ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Behala Road Accident: শিশু মৃত্যুতে তুলকালাম বেহালায়, স্কুলের মধ্যে কাঁদানে গ্যাস ফাটানোর অভিযোগ! অসুস্থ পড়ুয়ারা
এলাকাবাসীদের বক্তব্য, পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের উদাসীন মনোভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। গত এক বছর ধরে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব, অভিযোগ জানানোর উপায় নেই। একটু রাত হলেই ওই রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ উধাও হয়ে যায়। সকাল আটটা-ন’টার আগে দেখা পাওয়া যায় না সার্জেন্টদের। তার উপর রয়েছে হকারের সমস্যা। হকাররা দখল নিচ্ছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলির। জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো চালু হওয়ার পরে, স্টেশন সংলগ্ন এলাকার পরিধি আরও কমেছে। তবে ‘ম্যান ম্যানেজমেন্টের’ পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।

Behala Road Accident Victim: রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে প্রলাপ মায়ের, জন্মদিনের আগেই থামল বেহালার খুদে পড়ুয়ার জীবন
কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বেহালায় এখন মেট্রো চালু হয়েছে। ফলে চৌরাস্তা দিয়ে আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি লোক যাতায়াত করেন। এলাকায় বেআইনি পার্কিং রুখতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হবে। পাশাপাশি শহরের ৫৮টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও হকার বসতে পারবে না।’ তবে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিশ্রুতি আদৌ পালিত হবে তো? চৌরাস্তা থেকে হকার এবং অটো স্ট্যান্ডের নামে রাস্তা দখল কি আদৌ বন্ধ হবে? দুঘটনার পর অবশ্য রাস্তা পারাপারের সময়ে দুর্ঘটনা রুখতে বেহালা চৌরাস্তায় লাগানো হয়েছে বুম বেরিয়ার।

Civic Volunteer : PWD-র জমি আটকে সিভিকের ‘দাদাগিরি’! পুলিশের কড়া পদক্ষেপে খুশির হাওয়া ভাঙড়ে
ডায়মন্ড হারাবার রোড ধরে দ্রুত গতিতে ট্রাক চলাচল করে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা চালকদের থেকে তোলা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন। ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের রাস্তায় দেখাই যায় না। তাঁদের দেখা যায় কেবল ফাইন আদায়ের সময়ে। বেহালার বাসিন্দা বুম্বা দাস বলেন, ‘রাতের দিকে তারাতলা ব্রিজ আটকে যে ভাবে লরিগুলি দাঁড়িয়ে থাকে, বাইক নিয়ে ব্রিজে ওঠাই যায় না।’

Road Accident: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া, রণক্ষেত্র বেহালায় আগুন পুলিশের ভ্যানে
মাঝেরহাট ব্রিজে পণ্যবাহী ট্রাক ওঠার কথাই নয়। তারাতলা ব্রিজের নীচ দিয়ে যাওয়ার কথা। তা করতে গিয়ে ট্যাঁকশালের কাছে রাস্তাজুড়ে পর পর দাঁড়িয়ে যায় ট্রাক। পাঠকপাড়া থেকে বেহালা ট্রামডিপো পর্যন্ত দু’টি লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকে বালি-স্টোনচিপ বোঝাই গাড়ি। এই সংকীর্ণ রাস্তা দিয়েই গভীর রাতে, ভোরের দিকে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি যাতায়াত করে।

Road Accident : স্কুলে যাওয়ার পথেই খুদেকে পিষল লরি, শোকে পাথর মা-বাবা
মৃত শিশুটির বাড়ির কাছেই থাকেন শান্তনু মজুমদার। সকালে মেয়েকে বাইকে মোমিনপুরের একটি স্কুলে দিতে যান শান্তনু। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কে রয়েছি। সকালের দিকে কোনও পুলিশকেই রাস্তায় দেখা যায় না। রাস্তার দু’ধারে গাড়ি পার্ক করা থাকে। সিগন্যাল থাকলেও, কেউ তোয়াক্কা করে না।’ সরশুনার বাসিন্দা রাজু মণ্ডলের অভিযোগ, ‘তারাতলা থেকে ঠাকুরপুকুরে নির্দিষ্ট কোনও বাস স্ট্যান্ড নেই। তাই হাত দেখালেই বাস-অটো দাঁড়িয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *