ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল ওই যুবক। শনিবার ধৃত যুবককে বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয়। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন অনেক ISF নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে ISF নেতৃত্ব।
ভাঙড়ের এক ISF নেতা বলেন, ‘যে ধরা পড়েছে বিজরুল, সে নির্দোষ। ওই হামলার সঙ্গে ISF-এর কোনও যোগ নেই। এটা তৃণমূলের যুব ও মাদারের সমস্যা হতে পারে, এর সঙ্গে ISF-এর কোনও যোগ নেই। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
আমরা পুলিশকে বলেছি, যদি ভাঙড়ের কোনও ব্লকে কোনও ISF কর্মীর হাতে বোমা বন্দুক অস্ত্র পান, আপনারা গ্রেফতার করবেন, আমার সহযোগিতার করব। বোমা বন্দুকের রাজনীতি আমরা করি না। আমাদের নেতা নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন স্বচ্ছ রাজনীতি করতে, আমরা স্বচ্ছ সমাজ গঠনের উদ্দেশে ডাক দিয়েছি, লড়াই করছি, আগামীদিনেও লড়াই করব। আইন আইনের পথে চলবে’।
এদিকে ধৃতের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মিথ্যাভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেই ভাঙড়ে সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক ISF নেতাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন ISF নেতা ওহিদুল ইসলাম।
দত্তপুকুরে ISF নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে দিনের পর দিন। এই কারণে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।