জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের বামুনিয়া গ্রামের ১৪৭ নম্বর বুথে আইএসএফ-এর সমর্থনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েন সাদেকুল মোল্লা। নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। এরপর এলাকার দুই আইএসএফ নেতা গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও মোকারেব মোল্লা জয়ের সার্টিফিকেট-সহ ওই নিয়ে প্রার্থীকে ফুরফুরাতে নিয়ে যায়। সেখানে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সার্টিফিকেটটি দেখার নাম করে তাঁর থেকে নেন। কিন্তু তারপর আর সেটি ফেরৎ দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ। যার জেরে এবার বাধ্য হয়ে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন সাদেকুল মোল্লা।
নির্দল প্রার্থী সাদেকুল মোল্লা বলেন, ‘আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে জিতেছিলাম, আইএসএফ-এর সমর্থনে। তারপর গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও মোকারেব মোল্লা আমাকে বলে, নওশাদ ভাই তোমাকে যেতে বলেছেন, সার্টিফিকেটটা নিয়ে চল। সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছি আমি। আমার কাছ থেকে নওশাদ সাহেব সার্টিফিকেটকা নিয়ে দেখে ফেরৎ দেবেন বলে, আর ফেরৎ দেননি। চাইছি ফেরৎ দিচ্ছেন না। সেই জন্য আমি থানায় এসেছি, সার্টিফিকেটটা যেন পাই।’
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘একটা খবর পেলাম, সাদেকুল বলে একজন আছেন চালতাবেড়িয়া। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন। তারপর শোনা গেল উইনিং সার্টিফিকেটটা ফুরফুরা শরীফে নওশাদ সিদ্দিকী সাহেবের কাছে সেটাকে জমা রাখতে হয়েছে এবং পরবর্তী সেই সার্টিফিকেট আর সাদেকুলকে দিচ্ছেন না। সেটা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। একটা জয়ী প্রার্থীর সার্টিফিকেট নিয়ে আটকে রাখা, মানুষ তাঁকে জিতিয়েছেন, কোন ধরণের রাজনীতি আপনি করছেন? এটা ভাঙড়ের মানুষ কোনওদিনও মেনে নেবেন না। অনুরোধ রাখিছ নওশাদ সাহেব, এমন রাজনীতি আপনি করবেন না। এই ঘটনায় ধিক্কার এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করব।’
অস্ত্র-সহ গ্রেফতার আইএসএফ কর্মী
এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক আইএফএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি ব্রিজের কাছ থেকে একটি বন্দুক ও ২ রাউন্ড কার্তুজ-সহ বিজরুল আলি মোল্লা নামে ওই আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে কাশিপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবক কৃষ্ণমাটি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই খবর পাওয়ার পরেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত যুবক ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হওয়া আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাতেও যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে।