বর্তমান সময়ে হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ল্যাপটপ সঙ্গে ইন্টারনেট থাকায় পছন্দের ছায়াছবি দেখে নিচ্ছেন সবাই। আর সেই কারনে দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হচ্ছে না। কিছু কিছু প্রেক্ষাগৃহ কর্মচারীদের মুখ চেয়ে আগামীতে সুদিনের আশায় প্রেক্ষাগৃহে ছায়াছবি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জেলার অনেক সিনেমা হল। যেমন বারাসতের সরমা, কলকাতার এলিট, রিগাল, আসানসোলের খ্যাতনামা চিত্রা সেই সঙ্গে আরও অনেক। এরই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিছু কিছু সিনেমা হল এখনও কোনওরকমে টিকে রয়েছে।
এরকমই এক সিনেমা হল গীতা। সেটির অপারেটর মানস মাইতি বলেন, ‘সত্যি বলতে মানুষ আর হলে সিনেমা দেখতে আসছেন না। এটার জন্য দায়ী আজকের টিভি চ্যানেলগুলি, সেই সঙ্গে অনলাইন দুনিয়া। সিনেমা হলে সিনেমা আসার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে মানুষ পেয়ে যাচ্ছেন।
তাহলে ভালো সিনেমা এলেও তাঁরা হলে আসবেনই বা কেন! এটা নিয়ে সরকারের কিছু ভাবনা চিন্তা করা উচিৎ। এরকম ভাবে অনলাইনে ছাড়াতে লাগাম টানা উচিৎ’। তিনি আরও বলেন, ‘এই সিনেমা হলের সঙ্গেই আমাদের রুজি রোজগার জড়িয়ে।
বহু বছর থেকে আমরা এই কাজই করে আসছি। এখন ব্যবসায় ক্ষতি হলে হল মালিকই বা কি করতে পারেন! তিনি তো হল চালাতে পারবেন না। তাই হল বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের ক্ষতি’। আরেক হল মালিক এই বিষয়ে বলেন, ‘যে কোনও সিনেমা এলেও আমাদের হলের সিট ফাঁকা পড়ে থাকে। দর্শক আসেন না। খুবই ক্ষতি হয়।
তবে কষ্ট করে তৈরি করেছি একটা প্রতিষ্ঠান। ছাড়তে পারিনা। চালাতে হয়। কর্মীরাও রয়েছেন। তাঁদের কথাও ভাবি। তবে দিন শেষে লাভ হয়না তেমন কিছুই। ওই যাকে বলে খেয়ে পড়ে বাঁচা’। আগামী দিনে কি সুদিন ফিরবে? এটাই এখন দেখার অপেক্ষায় মালিক থেকে কর্মীরা সকলেই।