খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা বছর ৪০ এর গণেশ মান্না ও সুব্রত দাস কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁদের বাড়ি সিঙ্গুর ও ধনিয়াখালি থানা এলাকায়। সিঙ্গুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়। বাড়ির গৃহকর্ত্রী চন্দনা মাইতি বলেন, ‘দুমাস আগে তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কটি। আজ সকালে মিস্ত্রিরা পাটা খুলতে এসেছিল। একজন সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরের পাটা খুলছিলেন। আর অপরজন বসেছিলেন। সেপটিক ট্যাঙ্ক খোলার পরেই একজন ভিতরে নামেন।
তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় মিস্ত্রির নাম ধরে ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। অপরজনকে তোলার জন্য আরেকজন নেমেছিল। তখনই গিয়ে দেখি নিচে একজন পড়ে রয়েছে। এরপরেই প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করি’। দমকল আধিকারিক মলয় মজুমদার বলেন, ‘সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে দুজন কাজ করতে নেমেছিলেন, সেখানেই অজ্ঞান অবস্থায় দুজন পড়ে ছিলেন। দুমাস আগে তৈরি হওয়ার সেপটিক ট্যাঙ্কের বাঁশ ও কাঠের পাঠাতন খুলতে দুই শ্রমিক নেমেছিল। আমরা দুই শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করি।
পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মনে করা হচ্ছে নতুন হলেও সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখগুলি বন্ধ থাকায় মিথাইল গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছিল। সে কারণেই নামার সঙ্গে সঙ্গেই দুজনেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন’। কয়েকমাস আগেই একই ঘটনা ঘটেছিলো নদিয়া জেলায়। নতুন সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে সেন্টারিংয়ের তক্তা খোলা হচ্ছিল। তখন ভিতরে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। প্রথমে একজন কাজ করতে নামলেও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এই দেখে দ্বিতীয়জন নামেন সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর।
তারপর তাঁরও সাড়া মিলছিল না। তখন তৃতীয়জন শ্রমিক আর একজন নামে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে। তিনজনের কোনও সাড়া না মেলায় অন্য শ্রমিকরা চিৎকার করতে থাকেন। তখন প্রতিবেশীরা আসেন সেফটিক ট্যাঙ্ক ভাঙার জন্য। যদিও কাউকে বাঁচানো যায়নি।