ধৃতদের বাড়ি কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলায়। বিদেশি প্রৌঢ় নাগরিকরা মূলত টার্গেট ছিল এই চক্রের। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশের নাগরিকদের টার্গেট করা হত। তাঁদের মেল পাঠিয়ে এনি ডেস্কের মত অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণা করা হয়।
লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য অ্যামাজনের মত নামী কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দিয়ে ফোন করত ধৃতরা। তল্লাশিতে কম্পিউটার মনিটর, কী বোর্ড এবং কিছু কাগজপত্র সহ ৬ টি ডেস্কটপ আটক করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডানকুনি থানায় 419/420/467/468/471/120B IPC এবং ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন 1885 এর 20/20A ধারায় মামলা শুরু করা হয়। ধৃতদের শনিবার আদালতে পেশ করা হয়। এই বিষয়ে ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের অন্য একটি অফিসের এক কর্মী বলেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে প্রচুর অফিস থেকে শুরু করে গোডাউন রয়েছে।
সব জায়গায় কি কাজ হচ্ছে তা বলা মুশকিল। আজ পুলিশ অভিযান চালানোর পর সমস্ত ঘটনা জানতে পারি’। কয়েকমাস আগেই বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে নারায়ণপুর থানা এলাকার পূর্ব বেড়াবেড়িতে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের খবর আসে। নারায়ণপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ১১ জন তরুণী ও ১০ জন যুবক। উদ্ধার হয় ৪৬টি মোবাইল। বাজেয়াপ্ত হয় বহু নথি। জানা যায়, ওই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্র চালানো হত।
এরপরেই সেখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। পুলিশ জানতে পারে ওই অফিসে বসে সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাইভ জি মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত।