জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম গোবিন্দ ঘোষ। বাড়ি নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামে। ওই ব্যক্তি নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিন মজুরের কাজ করতেন। দিন কয়েক আগে গোবিন্দর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে চুরি যায় প্রচুর সোনা ও নগদ টাকা। সেই ঘটনায় গৃহকর্তা সাত জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই তালিকায় ছিল গোবিন্দ ঘোষের নামও। পরিবারের দাবি, ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার গোবিন্দ ঘোষকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় নবগ্রাম থানার পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের পরও তাঁকে ছাড়া হয়নি। বৃহস্পতিবার থানায় দেখা করতে গেলে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁকে ছাড়া হয়নি। চুরির ঘটনার দিন গোবিন্দ ঘোষ সেনা ছাউনিতে কাজ করচিলেন বলেও দাবি তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
এরপরেই শুক্রবার থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষের। গোবিন্দর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও গ্রামের প্রায় ৩০০ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। উত্তেজিত জনতা থানার গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা হয়। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, পুলিশ কাঁচের বোতল ভেঙে থানার গেটের সামনে ছড়িয়ে দেয়, যাতে তাঁরা ভিতরে ঢুকতে না পারেন। আজ মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে মৃতের বাবা গতকাল বলেন, ‘ছেলে আমার ক্যাম্পে কাজ করে। সেদিনও কাজ করতে গিয়েছিল ছেলে। আজ ছাড়ার কথা। কিন্তু মারতে মারতে পুলিশ মেরেই দিয়েছে।’ ঘটনার জেরে এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।