জানা গিয়েছে, ওই এটিএম মেশিনটিতে তিন লাখ টাকা ছিল। সংস্থার তরফে ওই টাকা জমা করা হয়েছিল। তবে কত টাকা চুরি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে পুলিশ ফাঁড়ির উলটো দিকের এটিএমে দিনে দুপুরে এমন চুরির ঘটনা ঘটার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছর ধরে এটিএম কাউন্টারটি রয়েছে। সেখানে দুটি মেশিন রয়েছে। তার মধ্যে একটি মেশিনের ভল্ট গ্যাস কাটার দিয়ে কাটে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেখান থেকে টাকা নিয়ে পালায় তারা। শনিবার সকালে লজ মালিকের চোখে গোটা বিষয়টি পড়ে। এরপরই পুলিশকে জানানো হয়। উলটোদিকে রয়েছে রাঙাপানি ফাড়ি। সেখান থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর লজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।
ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ভোর ৩টে নাগাদ ওই দুষ্কৃতীরা এটিএমের ভিতর ঢুকেছিল। একটি গ্যাস সিলিণ্ডার নিয়ে সেখানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। আধ ঘণ্টার খানিক বেশি সময় ধরে চলে অপারেশন। এরপর টাকা নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রাঙাপানি ফাঁড়ি ও বাগডোগরা থানার পুলিশ।
এদিন সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। বাজারের মধ্যে এমন ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অনুমান, আগে থেকেই রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। রাতে পুলিশের একটি ভ্যান ওই এলাকায় টহলদারিতে ছিল। সেই সুযোগ বুঝে এটিএম কাউন্টারে ঢুকে দুষ্কৃতীরা। ঘটনা পর তাঁরা ঘোষপুকুর হয়ে বিহারের দিকে পালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
বেশ কিছু বছর আগে শিলিগুড়িতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসে একটি এটিএম কাউন্টারের ভল্ট উঠিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর বহু জায়গায় এটিএম মেশিন লুঠের চেষ্টা হয়েছে। তবে বিগত একবছরে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ মনে করছে দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। জোর কদমে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।