স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিশুলা পট্টি এলাকার গৃহবধূ তাঁর স্বামীর মুদিখানার দোকানের সামগ্রীর বিক্রি যেন বাড়ে সেকারণেই ওই পুরোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কী করলে স্বামীর ব্যবসায় উন্নতি হবে তা পুরোহিতের কাছে জানতে চান ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, তখনই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় ওই পুরোহিত।
মহিলার সমস্যার সমাধানের টোটকা হিসেবে সে বলে, ‘সংসারের মঙ্গল চাও তো স্বামীর সঙ্গে এক বিছানায় তিন দিন ঘুমোতে পারবে না। আমার সঙ্গে তিনদিন সহবাস করলে স্বামীর দোকান চলবে আর সংসারে উন্নতি হবে।’ পুরোহিতের মুখে একথা শুনে লজ্জায়, অপমানে কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না ওই গৃহবধূ। পরে গোটা ঘটনার কথা তিনি তাঁর স্বামীকে জানান। তাঁর স্বামীও প্রতিবেশীদের গোটা ঘটনার কথা জানান।
এই ঘটনার পরদিন পুরোহিত এলাকায় পুজো করতে এলে এলাকাবাসী তাকে ঘিরে ধরে ফেলেন। দেওয়া হয় গণপ্রহার। চলতে থাকে চড়, কিল ও ঘুষি। উন্মত্ত জনতার মারের মুখে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে ওই পুরোহিত। স্থানীয়দের সে জানায়, আগামী দিন এই ধরনের কথা তিনি আর কখনও কাউকে বলবে না। তাকে যেন ওই এলাকায় আর দেখা না যায়, এই হুঁশিয়ারি দিয়ে স্থানীয়রা তাঁকে ছেড়ে দেন। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই পুরোহিত বলে, ‘আমি খুবই অন্যায় করেছি। মেয়েদের নোংরা কথা বলাটা আমার খুবই অন্যায় হয়েছে। আমি আগামী দিনে এই ধরনের কাজ আর কখনও করব না। আমি খুবই খারাপ কথা বলেছি।’
মহিলার স্বামী বলেন, ‘আমার দোকানে কেনাবেচা কম হয়। সেই কারণেই আমার স্ত্রী ওই পুরোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পুরোহিত বলে সমস্যার সমাধান কর দেবে। আমার সঙ্গে তিনদিন এক বিছানায় শুতে পারবে না, তাহলে আমি পাগল হয়ে ছুটে বেড়াব। তার বদলে ওই পুরোহিতের সঙ্গে তিনদিন সহবাসের প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের এখানে আরও এক মহিলাকেও একই ধরনের কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। কেমন এমন করল জানি না।’