এই নির্দেশ আসার পরেই খড়িবাড়ি তৃণমূল কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কর্মী ও গ্রামবাসীরা। কীর্তিপুর ১পঞ্চায়েতের বাদা গ্রামের তৃষ্ণা পাত্রকে প্রধান করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎই অঞ্চল কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় মহেন্দ্র মণ্ডলকে প্রধান করা হবে। তারপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।
তাঁরা প্রথমে খড়িবাড়ি অঞ্চল পার্টি অফিস ঘেরাও করে। পরে বারাসত দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। প্রতিশ্রুতি মতো নির্ধারিত পঞ্চায়েত প্রধানের পদ না পাওয়ায় বারাসত ২ নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল কার্যালয় ও বারাসত ২ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে ঘেরাও করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এই বিষয়ে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘ভোটের আগে থেকেই ঠিক ছিল বাদা গ্রামের SC প্রার্থী কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হবেন। কিন্তু হঠাৎই রাতারাতি ব্লক নেতৃত্ব অন্য কাউকে প্রধান করতে চাইছে।
আর তা মানতে চাইছি না বাদা এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কেউই তাই আমরা কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পার্টি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাই। পরবর্তীতে বারাসত ২ নম্বর ব্লক অফিসের তৃণমূল কার্যালয় সেখানে গিয়েও বিক্ষোভ দেখাই’। এরপর দলের উচ্চ নেতৃত্ব ও ব্লক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে এদিন ঠিক হয় বাদা গ্রামের জয়ী প্রার্থী কৃষ্ণা পাত্রকেই প্রধান করা হবে।
এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেন বাদা গ্রামের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যেমন প্রার্থী হওয়ার দাবি থাকে। ঠিক তেমনই নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর প্রধান হওয়ার দাবি থাকে।
স্বাভাবিকভাবে কারও মনে ইচ্ছা থাকতেই পারে। তাই তাঁরা দলের অফিস, দলের সভাপতির কাছে এসেছিলেন তাঁদের দাবি যেন বিচার করা হয়। পার্টির নেতৃত্বে যারা আছেন তাঁরা নিশ্চিত বিচার করবেন এবং পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে’।