উল্লেখ্য, রবিবার সারা দেশ জুড়ে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় রেল স্টেশন গুলির উন্নয়নের কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তার মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি রেল স্টেশন ছাড়াও ডালখোলা স্টেশনও রয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন সবদিক থেকেই স্টেশন গুলির আধুনিকীকরণের কাজ হবে। আর এ নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷
শিলান্যাস কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গের নাম না নেওয়ায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল৷ তিনি বলেন, “ঢাকঢোল পিটিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজের শিলান্যাস হলেও আদতে উত্তর দিনাজপুরে উল্লেখযোগ্য কাজ করেনি রেল। এমনকি মুখে এরাজ্যের নাম আনেননি প্রধানমন্ত্রী৷” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “উত্তর দিনাজপুরে একটাও রেলের ওভারব্রিজ হয়নি৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৬ হাজার রেল ওভারব্রিজ বৃদ্ধি করে ১০ হাজার করা হয়েছে। যা দুঃখজনক। যানজটের কারণে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। রায়গঞ্জে অবিলম্বে রেল ওভারব্রিজ প্রয়োজন। অথচ সেসব কিছুই হল না। সেই নিয়ে কথাও হচ্ছে না।”
যদিও এনিয়ে পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব৷ বিজেপির সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশেই রেলের উন্নয়নের কাজ করছে। কোনো রাজ্যের নামই উল্লেখ করেননি৷ কোনও ইস্যু না পেয়ে এখন নানা অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রকে বদনাম করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল ৷ অথচ তাদের নেত্রী এক সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন ৷ তিনি কী করেছেন জেলার জন্য? রেলকে বেচে খেয়েছেন। এখন বড়বড় কথা বলে বাজার গরম করে লাভ নেই ৷ সব রাজ্যের নাম বলা সম্ভব নয়। তবে উন্নয়নের নিরিখে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের থেকেও পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন বেশি করেছেন।”
একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এদিন আলুয়াবাড়ি রেল স্টেশনে নাম বদলেরও আর্জি জানান। তিনি বলেন, ”এই রেলস্টেশনের নাম ইসলামপুর টাউন করা হোক। তাতে বিভ্রান্তি কমবে। লোকের মধ্যে জিজ্ঞাস্য আছে, আলুয়াবাড়ি রেল স্টেশন থেকে ইসলামপুর টাউন কত দূরে অথচ ইসলামপুর পুরসভা এলাকার মধ্যেই যে এই স্টেশন তা লোকে জানে না।” এই বিভ্রান্তি মেটাতেই রেলবোর্ডের কাছে তাঁর নাম বদলের আর্জি।