Bhangar West Bengal : স্বাধীনতা দিবসের আগেই ভাঙড়ে থানার সংখ্যা হবে ৯, নাম কী কী জানেন? – kolkata police has proposed to increase number of ps up to 9 at bhangar south 24 parganas


ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার জন্য আগেই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করে দেয় কলকাতা পুলিশ। বর্তমানে ভাঙড় এলাকায় তিনটি থানা। সেগুলি হল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স বা কেএলসি থানা, ভাঙড় খানা এবং কাশীপুর। তবে কলকাতা পুলিশ ভাঙড়কে নিজেদের আওতায় নেওয়ার পাশাপাশি নিরপত্তার জন্য সেখানে থানার সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছিল। সূত্রের খবর আগামীদিনে ভাঙড়ে থানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই অনুয়ায়ী ৯টি প্রস্তাবিত থানার একটি তালিকাও তৈরি হয়েছে। সেই ৯টি প্রস্তাবিত থানা হল –

১. ভাঙড় থানা
২. কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা
৩. উত্তর কাশিপুর থানা
৪. হাতিশালা থানা
৫. পোলেরহাট থানা
৬. বিজয়গঞ্জ বাজার থানা
৭. নারায়ণপুর থানা
৮. বোদরা থানা
৯. চন্দনেশ্বর থানা

Bhangar News : ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার রাজ্যের! ভাঙড় নিয়ে নওশাদের করা মামলার নিষ্পত্তি হাইকোর্টে
পুলিশ সূত্রের খবর, শীঘ্রই কলকাতা পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে একটি নতুন ডিভিশন তৈরি করা হবে, যেখানে এই ৯টি নতুন থানাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রস্তাবটি রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলেই নতুন থানা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে, ‘এনসিআরবি রেকর্ড অনুসারে, কলকাতাকে পরপর তিনবার ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসাবে তকমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি কলকাতা পুলিশ ভাঙড়েও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।’

Bhangar News : ভাঙড় আছে ভাঙড়েই! ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হতেই ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবের পরে, ভূমি জরিপ ও ভূমি রেকর্ড দফতরের একটি দল ভাঙড় পরিদর্শন করে এবং এলাকা বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, ৯টি নতুন থানা তৈরির একটি খসড়া প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়।

Kolkata Police : ভিখারি সেজে কোম্পানিতে ‘গোয়েন্দাগিরি’ নুরের, ৭ জিএসটি অফিসারকে তলব কলকাতা পুলিশের
প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের যে সমস্ত জায়গা থেকে হিংসা, অশান্তি, রক্তপাতের খবর এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ভোট মিটে যাওয়ার পরের সময় পর্যন্ত বারেবারেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। অশান্তির জেরে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংঘর্ষ জড়িয়েছেন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও ভাঙড়ের হিংসার কথা উঠে আসে। আর তার ঠিক কয়েকদিন পরেই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশের পরেই শুরু শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। পুলিশ সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতা দিবসের আগেই কলকাতা পুলিশের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ভাঙড়, সেই সঙ্গে বাড়তে পারে থানার সংখ্যাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *