‘আমার ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে!’ আদালতে বিস্ফোরক পার্থ


‘নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে’, নিয়োগ দুর্নীতিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে এমনটাই মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর ধরে সিবিআই কিছু প্রোডিউস করতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই। সামনে পুজো, আমারও পরিবার আছে, যে কোনও স্বর্তে জামিন দিন।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। দু’টি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমান নগদ টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বহিষ্কার করা দল থেকেও। শুনানি চলাকালীন বারেবারেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন পার্থ। যদিও প্রতিবারেই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। এদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পার্থর পরেও আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
Behala Accident : ফ্রেন্ডশিপ-ডে রংহীন, বন্ধুরা ছবি আঁকল নীলের স্মরণে
ভাঙা হতে পারে পার্থর পার্টি অফিস
এদিকে বেহালায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হতে পারে আজ। গত শুক্রবার দুর্ঘটনায় সৌরনীল সরকার ও তার বাবার মৃত্যুর পর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। কার্যত তারই পদক্ষেপ হিসেবে চলছে ‘বুলডোজার অভিযান’। একের পর এক বেআইনি হকার ও গুমটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে রাস্তা দখল করে থাকা বাড়িঘরও। এবার সেই ‘বুলডোজার অভিযানের’ অংশ হিসেবেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই বেহালার ম্যান্টন এলাকায় নিজের দফতর খোলেন পার্থবাবু। ২০১৬ সালে তাঁর বসার জন্য সেই অফিসের বাইরে ফুটপাথ লাগোয়া আরও একটি জায়গা তৈরি হয়। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত সেই অফিসে বসেই এলাকার কাজকর্ম দেখতেন তিনি। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গেও দেখা করতেন ওই অফিসেই। ২০২১ সালে পার্থ ফের বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে জয়ের পর ওই জায়গাটি নতুন করে সাজিয় তোলা হয়। জায়গাটি ঘিরে দেোয়া হয় কাচ দিয়ে। লাগানো হয় পর্দা ও এসি। মেঝেতেও বসানো হয় টাইলস। তবে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ওই ঘরটি আর খোলা হয়নি। তবে অভিযোগ হচ্ছে, যে জমির ওপর ওই অফিস তৈরি করা হয়েছিল, সেটি সরকারি। কিন্তু সেই সময় শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী থাকার কারণে সেই বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলেননি। তবে এবার সৌরনীলের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে ওই অফিস নিয়েও।

Behala Road Accident : দখলদারি আর খোঁড়া রাস্তায় ‘নরক’ বেহালা
শোনা যাচ্ছে পার্থবাবুর ওই অফিস, আজই ভেঙে দেওয়া হতে পারে। এদিকে এদিনই আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যাকে। আদালতে পেশের সময় তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি তিনি। তবে সৌরনীলের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘২৫ বছরের বিধায়ক রয়েছি, এমন ঘটনা দেখিনি। সরকারকে বলব পরিবারের পাশে থাকার জন্য।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *