ভাঙড়ের চালতাবেরিয়া অঞ্চলের ISF সমর্থিত নির্দল জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের হাত ধরে। রবিবার ভাঙড়ে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি হয় আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও ভাঙ্গরের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য তৃণমূল নেতা নেতৃত্বরা।
এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূলের যোগ দিলেন চালতাবেরিয়া অঞ্চলের ISF সমর্থিত নির্দল জয়ী প্রার্থ সাদিকুল মোল্লা। এদিন তিনি তৃণমূলে যোগদান করে। যোগদানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাদিকুল জানান, তৃণমূলের নীতি আদর্শ ভালো তাই আমি নিজের ইচ্ছাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।
চালতাবেড়িয়া 147 নম্বর বুথের এই সাদিকুল মোল্লা গতকাল কাশিপুর থানায় নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারপরেই আজ রবিবার আবার তৃণমূলে যোগদান করেন এই সাদিকুল। যদিও, এতে ISF-এর কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানালেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তার বক্তব্য ভাঙড়ের মানুষ ISF-এর সঙ্গে আছে। ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের যোগদান করানো হয়েছে বলে দাবি নওশাদের।
যদিও, তৃণমূলে যোগদানকারী সাদিকুল জানান, স্থানীয় দুই আইএসএফ নেতা গিয়াসুদ্দিন মোল্লা এবং মোকারেব মোল্লা তাঁকে নিয়ে ফুরফুরায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ভোটে জয়ের সার্টিফিকেট ছিল। তাঁর অভিযোগ, নওশাদ সিদ্দিকি সার্টিফিকেট দেখার নাম করে তাঁর থেকে সার্টিফিকেটটি চেয়ে নেন। কিন্তু তারপর আর ফেরত দেননি।
সাদিকুল এও জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন। পরে তৃণমূলে আসেন। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে তিনি নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এখানে ফিরে আসার জন্য তাঁকে কেউ ভয় দেখায়নি বা চাপ দেয়নি বলে দাবি করেন তিনি। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি আদর্শের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান সাদিকুল।