Behala Accident : ফ্রেন্ডশিপ-ডে রংহীন, বন্ধুরা ছবি আঁকল নীলের স্মরণে – behala accident souranil sarkar friends draw his photo on occasion of friendship day


এই সময়: কখন বিকেল হবে, তার অপেক্ষায় থাকত সৌরনীল। অনেক সময়ে খেলার নেশায় দুপুরে ঘুমোতও না সে। রোদ পড়লেই বাড়ির সামনের রাস্তায় ব্যাট-বল হাতে নেমে পড়াই ছিল তার রোজকার রুটিন। রবিবার হলে আর তাকে পায় কে! খেলার সঙ্গীরাও হাজির হয়ে যেত নির্দিষ্ট সময়ে। এই প্রথম কোনও রবিবারে তারা সৌরনীলকে সঙ্গে পেল না। প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে তাই পাড়ার খুদেদের ফ্রেন্ডশিপ-ডে রংহীন! হাতে বাঁধা হলো না ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড। তবে তার জন্য একটি ছবি এঁকেছে বন্ধুরা।

Behala Road Accident Victim: রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে প্রলাপ মায়ের, জন্মদিনের আগেই থামল বেহালার খুদে পড়ুয়ার জীবন
হরিদেবপুরের নবপল্লীর রবীন্দ্রনাথ টেগর রোডে তিনতলা বাড়ির একেবারের উপরের তলায় থাকে সরকার পরিবার। দু’টি তলা ভাড়া দেওয়া রয়েছে। বিকেল হলেই সটান তিন তলা থেকে নীচে নেমে পড়ত সৌরনীল। বাড়ির সামনে সিমেন্টের ৬ ফুটের রাস্তা। সেখানেই বল পেটাত ৮ বছরের খুদে। পাড়ার ছোট্টো বন্ধুরা তাকে নীল বলেই ডাকত। কখনও মাঠে, আবার কখনও রাস্তায় চলত খেলাধুলো। খেলার সময়ে অবশ্য মা দীপিকা সরকারের সব সময়ে নজর থাকত ছেলের উপরে।

Behala Accident : ‘ছেলেকে আর পাব না, স্বামী অন্তত ফিরে আসুক ঘরে’, আর্তনাদ সৌরনীলের মায়ের
গত শুক্রবার সকালে বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সৌরনীলের। সেই ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তার
স্কুলের বন্ধুরা। অনেকেই দুর্ঘটনার পর চৌরাস্তার উপরে যে তান্ডবলীলা চলেছে, তার সাক্ষী। শিশুমনে সেই প্রভাবে যে এখনও রয়েছে, তা জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। সে কারণে বড়িশা জুনিয়র স্কুল আপাতত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

Behala Road Accident : ঢিলেমি দেখলেই ফের প্রতিবাদ বেহালায়
ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি খুদের ক্লাস টিচাররাও। তাঁদের বক্তব্য, ‘সৌরনীলের মতো ফুটফুটে শিশুকে কী ভুলে থাকা যায়? যে ভাবে রাস্তায় ওকে পড়ে থাকতে দেখেছি, তাতে রাতের ঘুম চলে গিয়েছে আমাদের।’ প্রধান শিক্ষক অর্জুন রায় সৌরনীলের মৃত্যুর জন্য পুলিশকেই সরাসরি দায়ী করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালেও তাঁকে ভর্তি করতে হয়।

Kunal Ghosh Behala Road Accident : ‘আমরা সবাই দায়ী…’, বেহালার খুদে সৌরনীলের মৃত্যুতে ‘বিবেক জাগ্রত’ কুণালের
স্কুলের এক বন্ধুর কাছে রয়ে গিয়েছে তার আঁকার খাতা। যত্ন করে সেই বন্ধু রেখে দিয়েছে সৌরনীলের শেষ স্মৃতি। দ্বিতীয় শ্রেণীর ‘এ’ সেকশনে বসত সৌরনীল। রোল নম্বর ২১। এ বছর তার বসার জায়গাটা আপাতত ফাঁকা থাকবে। পাশে বসা বন্ধুরা জেনে গিয়েছে সৌরনীল আর ফিরবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *