‘ওঁকে পেলে গঙ্গায় ডোবাব…’, ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে BJP সাংসদকে আক্রমণ রতুয়ার বিধায়কের


‘সব ভেসে যাবে…’, তৃণমূল বিধায়কের কাছে বাঁচার আর্তি স্থানীয়দের। কার্যত গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে মালদা জেলার রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা।

Malda Ganga Erosion : গঙ্গা গিলে খেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, ভাঙন ভয়ে ঘুম উড়েছে রতুয়াবাসীর
গঙ্গা ভাঙনের রতুয়ার এক নম্বর ব্লকের মহানন্দা টোলা, শ্রীকান্তটোলা, কান্তটোলা, মনিরাম টোলা, পটলডাঙ্গা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এলাকার মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে গঙ্গার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। গ্রামবাসীদের দাবি, দিন ঘুরলেও রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দুই সরকারি গঙ্গা ভাঙন স্থায়ীভাবে সমাধান করতে এখনও পর্যন্ত পারল না।

Malda Station : যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে প্ল্যাটফর্ম, অমৃত ভারতে আমূল বদল মালদা টাউন স্টেশনের
তাই প্রতি বছরই মানুষের শুধু হাহাকার, কান্না শোনা যায়। কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রামবাসীরা। রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়র কাছে ক্ষোভ প্রকাশ তাঁদের। সমর মুখোপাধ্যায় জানান, ‘খগেন মুর্ম ভোটের সময় এসে বলল যে আমি গঙ্গা বাঁধবো। ওকে পেলে আমি গঙ্গায় ডুবাবো।’

Malda News : প্রলোভন দেখিয়ে যৌনচার, গর্ভবতী পরিচারিকা! অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
রতুয়ার মহানন্দটোলা এলাকায় নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হুঁশিয়ারি রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের। উত্তর ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ক্রমেই বাড়ছে মালদায় গঙ্গা নদীর জল। আর জল বাড়ার সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গঙ্গায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। বিধায়ককে কাছে পেয়ে হাতজোড় করে পা ধরে নিজেদের শেষ সম্বল টুকু বাঁচানোর আর্জি জানান এলাকার মহিলারা। আর এর পরই মেজাজ হারান বিধায়ক। গঙ্গা ভাঙনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিহার, ঝাড়খন্ড এবং বাংলা সরকার মিলিতভাবে কেন্দ্রের কাছে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য আর্জি জানিয়েছে।’

DVC Water : জল ছাড়ছে ডিভিসি! ঘরের ভেতর সাপ! ঘুম ছুটেছে রাতে!

পালটা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘আমি বারবার সংসদে এই বিষয়টি তুলেছি। চিঠি লিখেছি। উত্তরে আমাকে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করে স্কিম কেন্দ্রের কাছে পাঠাবে। কেন্দ্র এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আর্থিক সাহায্য ও দেবে।’ তাঁর কথায়, এই বিষয়গুলি রাজ্য সরকারকে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডার মাঝে পড়ে কার্যত অসহায় এলাকার সাধারণ মানুষ। ভিটেমাটি বাঁচানোর জন্য কাতর আরজি তাদের। সুলতা মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘ঋণ নিয়ে বাড়িঘর তৈরি করেছি। এখন আর জমি জায়গা বাঁচানোর কথা বলি না স্যার কারণ জমি জায়গা সব গঙ্গা গিলে খেয়েছে। বাড়িটুকু আছে ওইটুকুই বাঁচানোর আর্জি জানাচ্ছি।’ গ্রামের আরেক বাসিন্দা দীনেশ মণ্ডল বলেন, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাড়িহারা হব। ভাঙ্গন রোধের জন্য কোন কাজ হচ্ছে না। এইরকম ভাঙন চললে একের পর এক গ্রাম গঙ্গায় তলিয়ে যাবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *