দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরের ৫১২নং জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল। ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করতে হয় বাচ্চাদের। বুনিয়াদপুর শহরের সরাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
স্কুলের তরফ থেকে বংশীহারি থানা ও হরিরামপুর থানার ট্রাফিক গার্ডকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু, স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, আবেদন জানিয়েও পাওয়া যায়নি কোনও ট্রাফিক পুলিশ বা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সুব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে স্কুল শুরু এবং শেষের সময় রাস্তায় ট্রাফিকের সামলাতে আসেন শিক্ষকরাই। তবে জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রচন্ড গতিতে গাড়ি যাতায়াত করে। সেই ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষকদের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
স্কুল শুরু এবং শেষের সময় জাতীয় সড়কের ধারে কচিকাচাদের ভিড় হয়। রাস্তা পারাপার করার সময় প্রচণ্ড ঝুঁকি থেকে যায়। জাতীয় সড়কের ধারে কয়েকটি গার্ডরেল থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্ক, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেই। বংশীহার থানার তরফে ট্রাফিকের ব্যবস্থা করা হোক আর্জি জানানো হয়।
গঙ্গারামপুরে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে এরকম একাধিক স্কুল রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সর্বক্ষণই ঝুঁকি থেকেই যায়। স্কুলগুলোর আশেপাশে যাতে ট্রাফিকের ব্যবস্থা থাকে, তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবকরাও।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় বড়িশা হাই স্কুলের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুল পড়ুয়ার। পড়ুয়ার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তুলকালাম কাণ্ড ঘটে বেহালায়। পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেহালার ঘটনার পর শিক্ষা নিয়ে একাধিক জেলায় স্কুলের ধারে যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি অনেক স্কুলে গিয়ে ট্রাফিকের নিয়ম কানুন শিখিয়ে আসছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অনেক জায়গাতেই আলাদা করে ট্রাফিক গার্ড বসানো হচ্ছে। রাস্তার ধারের স্কুল গুলির সামনে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।