জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তের আইসিপি পেট্রাপোল ১৪৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তল্লাশি অভিযানের গ্রিন লাইন ট্রাভেলসের দু’টি যাত্রীবাহী বাস থেকে মোট ৬ জনকে আটক করে। বাসটি যাত্রী নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। ওই চালকদের কাছ থেকে ওই বিপুল পরিমান রুপোর গয়না, মদ ও ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর তল্লাশির সময়, জওয়ানরা দুটি বাস থেকে ১২ বান্ডিল ওষুধ, ১৮ বোতল মদ এবং প্রচুর পরিমাণে রূপার অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করেছেন৷ বিএসএফ-এর দাবি বিষয়গুলি চোরা পথে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে ওই দুটি বাসের চালক ও খালাসিরা। বাসের মধ্যে লুকিয়ে ওই জিনিসগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরপরেই ওই চালক ও খালাসিদের আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে প্রচুর পরিমান সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। সেখানে মোটর বাইকের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হচ্ছিল প্রচুর পরিমান সোনা। যন্ত্রাংশ খুলে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। গত রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয় বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সীমান্ত চৌকি বয়রাঘাট-বিওপি এলাকায়। টাকার লোভে ওই সোনার বিস্কুটগুলি পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে এক রাজমিস্ত্রী। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ কেজি ৮৩১.৯৫ গ্রাম ওজনের ১৫ টি সোনার বিস্কুট। বাজেয়াপ্ত সোনা বিস্কুটগুলির আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ধৃতের রাজমিস্ত্রীর নাম জায়রুল শেখ। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফিরোজপুর।
জানা গিয়েছে, ১১৫ নম্বর ব্যাটলিয়নের জওয়ানরা বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগ থেকে খবর পায় যে তাদের এলাকা দিয়ে সোনা পাচার হতে চলেছে। তথ্যের ভিত্তিতে জওয়ানরা ফিরোজপুর গ্রামের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আতঙ্কিত হয়ে নিজের মোটরসাইকেলের নিচের অংশে (চেইন কভারের কাছে ক্যাভিটি) সোনা লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে ওই রাজমিস্ত্রী। তারপরেই জওয়ানরা তাকে আটক করে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যায়।