সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে এরাজ্যের লক্ষাধিক প্রবীণ। কী কারণে বার্ধক্য ভাতার তালিকা থেকে ওই নামগুলি বাদ গেল। তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও কারণও নির্দিষ্টভাবে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। নবান্নের তরফে অনুমান, বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ এখনও সম্পন্ন না হওয়ায় বাদ গিয়েছে ওই প্রবীণদের নাম। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে অজুহাত হিসেবে এই কারণটিই বলা হয়েছে বলে খবর। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাকে ব্যতিব্যস্ত করার নতুন ফন্দি। এর জেরে আগামীতে সমস্যায় পড়বেন লক্ষাধিক মানুষ।
বার্ধক্য ভাতার সিংহভাগই দেয় রাজ্য। জানা গিয়েছে এই ভাতায় রাজ্যের ভাগ ৭০ ও কেন্দ্রের ভাগ ৩০ থাকে। পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে যাঁরা বার্ধক্য, বিধবা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ভাতা পান, সেই টাকার একাংশও আসে কেন্দ্রের থেকে। রাজ্য ৭০০ টাকা দিলে ৩০০ টাকা কেন্দ্রের পাঠানো ফান্ড থেকে যায়। শুধুমাত্র আশির্ধ্বো বয়স্কদের জন্য কেন্দ্র দেয় ৫০০ টাকা। গত বছর এই বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে রাজ্যে উপভোক্তার সংখ্যা ২০.৬৭ লাখ ধরে ফান্ড পাঠাত কেন্দ্র। এবার সেই ফান্ড এসেছে ১৯.৭১ লাখ গ্রাহকের জন্য। অতএব এক ধাক্কায় লক্ষাধিক প্রবীণ ছাঁটাই।
প্রসঙ্গত পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকারের কর্মসূচির মধ্যে থাকে বার্ধক্য ভাতার কর্মসূচি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কল্যাণে যে সমস্ত মহিলার নাম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ নথিভুক্ত আছে, তাদের ৬০ বছর হলেই এর বদলে চালু হবে বার্ধক্য ভাতা। রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষকে ‘জয় বাংলা’ প্রকল্পের অধীনে মাসে ১০০০ টাকা করে দেয় বর্তমান রাজ্য সরকার।
জয় বাংলা প্রকল্প কী?
বয়স্কদের জন্য একাধিক ভাতা-এর সুবিধাকে এক ছাতার নীচে আনা হয়। জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, বিধবা ভাতা, মানবিক, ওল্ড এজ পেনশন সহ পঞ্চায়েত, সমাজকল্যাণ, কৃষি সহ বিভিন্ন দফতরের আওতাধীন পেনশন, শিল্পীদের পেনশন সহ সমস্ত সুবিধাকে এক জায়গায় এনেছে বর্তমান সরকার।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুতে NSP- প্রকল্পের উপভোক্তাদের আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ককে যুক্ত করতে বলা হয়েছিল। সেই কাজ খুব অল্প সংখ্যক গ্রাহকের এখনও পূর্ণ নয়। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।