ঘটনাটি ঘটেছে খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে। মৃতের নাম হুমায়ুন কবির খামাড়ু (২১)। মৃতের মা সানোয়ারা খাতুন এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে প্রথম নির্বাচনের বলি হন এক কংগ্রেস সমর্থক। এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ফের পঞ্চায়েতের বলি হলেন কংগ্রেসের প্রতীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর ছেলে। এদিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে সাদল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল।
কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী সানোয়ারা খাতুন তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেসের প্রতীকে লড়েছিলেন। যদিও বোর্ড গঠনের আগে তিনি ফের দলে ফিরে আসেন। কিন্তু ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রধান গঠন নিয়েই রেষারেষি শুরু হয়।
নির্বাচিত প্রধানের পক্ষেই ভোট দেন সানোয়ারা খাতুন। এরপরই বিজয় মিছিল শুরু হলে মিছিলেই হুমায়ুন কবীর খামাড়ুকে দুস্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম উত্তেজনা থাকলেও সেভাবে পুলিশ তৎপর ছিল না। কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল পুলিশের।
কংগ্রেসের অভিযোগ, হুমায়ুনের মা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কিছু তৃণমূল কর্মীরা তা পছন্দ করেনি। সেই কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। অভিযোগ, এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। সানোয়ারা খাতুন কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও আদতে তিনি তৃণমূল সমর্থক। সেই কারণেই আবার দলে ফিরেছিলেন। কাজেই কারোর রাগ নেই এতে। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল, কে বা কারা খুন করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।’