জোটের সদস্যদের কিডন্যাপ করা হতে পারে আশঙ্কা করে আগেই ১৪ জন সদস্যকে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে গোপন ডেরায় রাখা হয়েছিল। ২৫ দিন ধরে সেখানেই রাখা হয়েছিল ১৪ জন নির্বাচিত বাম কংগ্রেস সদস্যদের। কিন্তু সেখানেও হানা দেয় সাগরদিঘি থানার পুলিশ, অভিযোগ এমনই।
সিভিক ভলান্টিয়ার, তৃণমূল নেতাদের নিয়ে দল বেঁধে ঝাড়খণ্ডে পাড়ি দিয়েছিল সাগরদিঘি থানার পুলিশ। অভিযোগ, উদ্দেশ্য ছিল কয়েকজন সদস্যকে কিডন্যাপ করে রাজ্যে নিয়ে আসার। কিন্তু বাম কংগ্রেস সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয় বলে জানিয়েছেন জোট নেতারা।
জানা গিয়েছে, বাম কংগ্রেস সমর্থকদের প্রতিরোধে তাঁদের পাশে দাঁড়ান পাকুড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকুড় থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে সব চক্রান্ত বানচাল হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন জোট নেতারা। আজ ১৪ জন সমর্থক জেলায় ফিরে আসেন। আজই বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। দলীয় সমর্থকরা মিছিল করে পঞ্চায়েতের উদ্দেশ্যে গেলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন জোট সমর্থকরা। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই নির্বাচিত সমর্থকদের ভিন রাজ্যে গোপন ডেরায় রেখেছিলাম।
কিন্তু সেখানেও পুলিশ নিয়ে হানা দিয়েছিল। বাম কংগ্রেস জোটের প্রতিরোধে তাঁরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। তৃণমূলের সব চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। এখানে বোর্ড গঠন করবে জোটই’। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘এই অভিযোগ মিথ্যা।
যেখানে যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে সেখানে তাঁরাই বোর্ড গঠন করবে। তৃণমূল দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে না। এখানে যা ঝামেলা হয়েছে, সেটার মূলে রয়েছে বিরোধী জোটের সদস্যরা। পুলিশ তাঁদের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে বললে তাঁরাই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে’।
