ফুলবাড়িতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় দেখা যায়, প্রধান ও উপপ্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান পদে নতুন মুখদের আনা হয়েছে এবার। সেই হিসেবে প্রধান পদে যিনি শপথ নিয়েছেন তিনি কলা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। বি.কমে স্নাতক পাশ করা পঞ্চায়েত সদস্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে উপপ্রধান হিসেবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই এই পদগুলিতে বেশ কয়েকজন দাবিদার ছিলেন। তবে ফুলবাড়ি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার প্রধান হয়েছেন সুনীতা রায় ও উপপ্রধান হয়েছেন আনন্দ সিনহা। দুইজনই এই পদে প্রথমবার।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধান সুনীতা রায় এমএ পাস। উপপ্রধান আনন্দ সিনহা বিকম পাস। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এবছর বেশ কয়েকজন প্রধান ও উপপ্রধান পদে দাবিদার ছিলেন। যদিও দলের জেলা স্তরের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে প্রধান ও উপপ্রধান। সেই হিসেবে প্রধান ও উপপ্রধান বেছে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ফুলবাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতেও প্রধান ও উপপ্রধান উচ্চমাধ্যমিক পাস বলে দলীয় সূত্রে খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রায় দু’মাস ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসে ‘নবজোয়ার’-এর ডাক দেন তিনি। অভিষেকের দেখানো পথে এই সিদ্ধান্ত বলেই জানাচ্ছেন জেলা তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, ‘দুই জায়গাতেই দল নতুনদের প্রধান ও উপপ্রধান করেছে। কয়েকদিন আগে এখান থেকে নাম পাঠানো হয়েছিল। এরপর দল খোঁজ নেয় প্রত্যেকের ব্যাপারে। দলের তরফে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সদস্যদের পদে রাখার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেক কাজ অনলাইনে হয়। ফলে প্রধান ও উপপ্রধান শিক্ষিত হলে তাঁদের সুবিধা হবে। তাঁদের কর্মীদের উপর ভরসা করে থাকতে হবেনা।’