এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুবরাজপুরের বালিজুরি থেকে শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল এলাকায়। কেন তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেই নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ভোটে জিতে সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী’কে প্রধান করা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলা রাজনীতিতে।
প্রধান পদে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লিপিকা বলেন, ‘নির্বাচন আমি জয়ী হয়েছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। গোটা কৃতিত্বটাই মা-মাটি-মানুষের। সেই কারণে তাঁদের আমি শুভেচ্ছ জানাতে চাই। সবাই আমাকে ভোট দিয়েছে বলে জিতেছি। আমি যখন প্রধান হয়েছি, আগামী দিন মন দিয়ে মানুষের কাজ করে যাওয়াটাই আমরা লক্ষ্য।’
শিবঠাকুর অনুব্রতর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও টিকিট, এটা কী দলের তরফে পুরস্কার? এই প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত প্রধান লিপিকা বলেন, ‘আই ক্যাননট সে এনিথিং (আমি কিছু বলতে পারব না)। দল আমার উপর আস্থা রেখেছে এটাই অনেক। আগেরবারও দল আমাকে টিকিট দিয়েছিল, কিন্তু আমি নিইনি। এখন মানুষের হয়ে কাজ করে যায়টাই আমরা একমাত্র লক্ষ্য।’
এ প্রসঙ্গে দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ‘দলের জেলা নেতৃত্বই লিপিকা মণ্ডলকে প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েতের বোর্ড এখানে গঠন হয়েছে। সুনীল বাগদিকে উপপ্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সবটাই জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ ও অনুমোদনের পর হয়েছে।’
উল্লেখ্য গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির পর আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হতেই দুবরাজপুর থানা খুনের চেষ্টাক অভিযোগ দায়ের করেন শিবঠাকুর মণ্ডল। এলাকায় তিনি তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কেষ্টকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এই কারণে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা বিলম্বিত হয়েছিল বলে মনে করেন অনেকে।