উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফাটে একাধিক বোমা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
তিনি বলেন, ‘যারা তীর ছুঁড়ল, বোমাবাজি করল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। BJP-র দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। শান্তিতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হোক, সেটা তাঁরা চায় না। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যারা অশান্তির সৃষ্টি করেছে, তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে।’
BJP নেতা তরনিকান্ত বর্মন অভিযোগ করে বলেন, ‘১৯ সদস্য বিশিষ্ট নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি আসন জয়লাভ করে এবং BJP জয়লাভ করে সাতটি আসনে। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য BJP-র সঙ্গে যোগাযোগ করলে আজ বোর্ড গঠনের দিন BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যরা গোপন ভোটের আবেদন জানান। সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান নবীর উদ্দিন মিয়া নিজেই সমস্ত জয়ী প্রার্থীর গোপন ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে একাই ভোট দেন করেন। আর BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যরা সেই ভোট দান প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করলে তাঁদের কথা না শুনেই BDO অফিস থেকে আসা কর্মীরা সমস্ত রকম কাগজপত্র নিয়ে চলে যায়।’
যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নাজিরহাট – ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনভোলা রায় বলেন, ‘যেহেতু BJP বোর্ড গঠন করতে পারেনি তাই উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। গণ্ডগোল করেছে। ওরাই বোমা ফাটিয়েছে। এই ঘটনায় যে কেউ আহত হতে পারত।’
যদিও বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP। তাঁরা সমস্ত ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূলের উপর।