Dengue Fever : তিন ধাপ নজরদারিতে মশা ধ্বংসের প্ল্যান – strict surveillance across bidhannagar on behalf of health bhawan to prevent dengue cases


এই সময়: বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় গত ১৫ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭। একই এলাকায় ১৫ জুনের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৪৯। অর্থাৎ, ৫৩ দিনে ওই পুরনিগম এলাকায় ১৩২ জনের ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এঁদের মধ্যে ৪৫ জন শেষ সাতদিনে আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর।

Dengue Fever : উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি, ব্যারাকপুরে আয়োজিত বৈঠক থেকে কী বার্তা প্রশাসনিক কর্তাদের?
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা তাই ত্রিস্তরীয় নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন পুরনিগমকে। পাশের দক্ষিণ দমদম পুরসভার অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। সেখানেও এ বছরের শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত ১১৫ জনের ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বাড়ি বাড়ি জমা জলের খোঁজে এবং বাসিন্দাদের সচেতন করতে আশা কর্মীদের পাঠায় বিধাননগর পুরনিগম। তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কি না, সে খোঁজ নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

Dengue Treatment : হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, নাজেহাল অবস্থা শান্তিপুর হাসপাতালে
এবং আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, মানুষকে বোঝাচ্ছেন কি না, সে খোঁজ নিতে সিনিয়র অফিসারদের এলাকায় ঘুরে খবর নিতে বলা হয়েছে। এর ফলে আমজনতাকে সচেতন করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ফাঁকা জমি এবং খালেও সমানতালে নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। পুরনিগম সূত্রে খবর, আক্রান্তদের অধিকাংশই কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাটের বাসিন্দা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপযুক্ত নজরদারির অভাবেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত।

Dengue Fever : ত্রিপুরায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২ ছুঁল! রাজ্যজুড়ে চলছে সচেতনতার প্রচার
উত্তর ২৪ পরগনায় বিধাননগর পুরনিগম এলাকাতেই গত বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক (৪,২০০) জন। সে কারণে এ বার বিধাননগর জুড়ে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে চাইছে স্বাস্থ্যভবন। এক কর্তা বুধবার বলেন, ‘নিম্নচাপের জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে রাস্তাগুলি হয়ে উঠেছে আরও বেহাল। অনেক রাস্তায় বড়-বড় গর্ত হয়ে জমছে জল।

Dengue Fever : রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির থাবা, ফের অকালে প্রাণ গেল বারাসতের যুবকের
তা ছাড়া, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে প্যান্ডেলও শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়। সে জন্য খোঁড়া গর্তেও জল জমার আশঙ্কা রয়েছে।’ এ সবই মশার লার্ভা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত। তাই এখন থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘মশার লার্ভার খোঁজে সব জায়গায় অভিযান চলছে। পার্ক এবং খালগুলিকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *