হাসপাতাল সুপার সুব্রত মন্ডল জানান,বাচ্চাটিকে চিকিৎসকরা দেখার পর আর সময় নেয়নি,সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করে। সেইসময় যে অবস্থায় শিশুটি ছিল,তাকে যদি কলকাতায় রেফার করা হয় তাহলে একটা দুর্ঘটনা যখ নতখন ঘটে যেতে পারত।
৬ অগাস্ট রাত থেকেই শুভেচ্ছার চিকিৎসা শুরু হয়। তাকে সুস্থ করতে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসক নার্সদের লড়াই শুরু হয়। ডক্টর সোম-এর অধীনে ভর্তি হয় শুভেচ্ছা। তার সঙ্গে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের টিম, নার্স সকলের অবদান ছিল।২৪ ঘণ্টা পর চিকিৎসায় সাড়া দেয় শুভেচ্ছা।চারদিনের মাথা বৃহস্পতিবার সকলের প্রার্থনা, শুভ কামনা. শুভেচ্ছা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মায়ের কোলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
হাসপাতাল সুপার সুব্রত মন্ডল মনে করে, ‘চিকিৎসকদের প্রতিটি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়,কিন্তু এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা অনেকটাই কঠিন। কারণ, যে সময় রোগী চিকিৎসকের কাছে এসে পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণে রোগীর অবস্থা অনেকটাই সংকটজনক হয়ে যায়।শুভেচ্ছা সিকদারের ডেঙ্গি হয়েছে ঠিকই তার সঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়াতে অনেকটাই খারাপ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। পরিবারের লোকজন কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিল। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্তে গেলে হয়তো ভুল হত। বলে চিকিৎসক মনে করেন।
বৃহস্পতিবার শুভেচ্ছাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে পেরে তার পরিবারের পাশাপাশি বারাসত হাসপাতালের সকল চিকিৎসক মহল খুশি। আসলে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাফল্য আসলে এর থেকে আর খুশি আর কী হতে পারে। সকলের ভালোবাসা, প্রার্থনা ও শুশ্রুষায় তাই নতুন জন্ম নিয়ে বাড়ি ফিরল শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছার লক্ষণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে খুদেদের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে ডেঙ্গি। সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি।