এই সময়: কোথাও মেডিক্যাল অফিসারকে করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল সুপার। তো কোথাও স্বাস্থ্যভবনে বসা উপ-সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের অধীনে মহকুমা সামলানোর। আবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে পদোন্নতি দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তাঁকে মহকুমার দায়িত্বে আনা হয়নি। কলকাতা লাগোয়া জেলায় দীর্ঘ দিন কাজ করার পরেও অনেককেই দূরে না পাঠিয়ে যেমন কলকাতা সংলগ্ন এলাকাতেই রাখা হয়েছে, তেমনই দূরবর্তী জেলায় কর্মরতদের অনেককে ফের দূরের জেলাতেই বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য-প্রশাসন স্তরে যে বদলির আদেশনামা বেরিয়েছে, তাতে এমনই নানা অনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ সরকারি চিকিৎসক সংগঠনের।
গত ৪ অগস্ট এই বদলি সংক্রান্ত আদেশনামাটি বেরোয়। বদলির নির্দেশের অনেক নজির ঘিরেই সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ সার্ভিস রুলে অনিয়মের পাশাপাশি অস্বচ্ছতা ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তাঁরা স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় আমলা-আধিকারিকদের গোচরে এনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কাজ না হলে অচিরেই আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। সজল বলেন, ‘অনেক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরই পদোন্নতি হয়েছে। তাঁদের মহকুমার দায়িত্ব দিয়ে সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে বহাল করার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। পদোন্নতির পরেও ব্লকেই রাখা হয়েছে।’
গত ৪ অগস্ট এই বদলি সংক্রান্ত আদেশনামাটি বেরোয়। বদলির নির্দেশের অনেক নজির ঘিরেই সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ সার্ভিস রুলে অনিয়মের পাশাপাশি অস্বচ্ছতা ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তাঁরা স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় আমলা-আধিকারিকদের গোচরে এনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কাজ না হলে অচিরেই আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। সজল বলেন, ‘অনেক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরই পদোন্নতি হয়েছে। তাঁদের মহকুমার দায়িত্ব দিয়ে সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে বহাল করার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। পদোন্নতির পরেও ব্লকেই রাখা হয়েছে।’
সজলের দাবি, উল্টো দিকে উপ-সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে কর্মরত অন্তত চার জনকে সহ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাজ করতে বলা হচ্ছে যা সার্ভিস রুলের পরিপন্থী। কেননা, সে ক্ষেত্রে উচ্চতর পদে থেকে নীচের পদের দায়িত্ব সামলাতে হয়। আবার হেলথ সার্ভিস ক্যাডারে কর্মরত ৯ জন মেডিক্যাল অফিসারকে কী ভাবে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত হাসপাতাল সুপারের পদে বসানো হলো, সে প্রশ্নও তুলছেন সজলরা। তাঁর বক্তব্য, ‘যে ভাবে একই ব্যক্তির কাঁধে একাধিক অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপানো হচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। মেডিক্যাল অফিসারদের পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন রোগীরা।’ এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তার অবশ্য দাবি, ‘এগুলো রুটিন বদলি। কোনও অনিয়ম নেই।’