সেই বোর্ড গঠনকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায় । আসরে নামেন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে চার্জে কে আছেন’? পুলিশকে আঙুল তুলে বলতে থাকেন, ‘তুমি আমার বাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছ কেন? এরপরে পুলিশকে ‘তুই-তোকারি’ করতে থাকেন। বলতে থাকেন, ‘আপনি আমার বাড়িতে ইট ছুঁড়েছেন কাঁচ ভেঙেছেন’। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পরে পঞ্চায়েতের তালা খুলে ভিতরে ঢোকেন জয়ী প্রার্থীরা। এদিকে, ফুরফুরার পিরজাদা কাশিম সিদ্দিকি বলেন, ‘ফুরফুরায় জিতেছে ISF। তৃণমূল জোর করে দাবি করছে, ওরা জিতেছে।
এটা নিয়ে আমরা আদালতেও গিয়েছি। সেখানে বিষয়টি বিচারাধীন। এই সময়ে কিভাবে বোর্ড গঠন করা যায়’? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আরও বলেন, ‘ফুরফুরার লোকেরা এই অন্যায় করতে দেবে না। ফুরফুরায় গুণ্ডামি ও অরাজকতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওরাই বোমাবাজি করছে’।
যদিও বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। তাঁরা দায় চাপিয়েছে ISF-এর দিকেই। ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান তথা বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, ‘গতকাল রাতে পঞ্চায়েতে তালা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
গতকাল সারারাত বোমাবাজি করা হয়েছে এবং আজকেও বোমাবাজি করা হচ্ছে। তবে বোর্ড গঠন আজকেই হবে। এখানে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বোর্ড গঠনও শান্তিপূর্ণ হবে। শান্ত ফুরফুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা আদালতের এমন কোনও নির্দেশ দেখাতে পারেনি যেখানে বলা আছে, বোর্ড গঠন করা যাবে না’।
উল্লেখ্য, ভোটের পর থেকেই ISF ও CPIM জোট দাবি করে আসছে, তারা ২২টি আসনে এগিয়েছিল। ভোট গণনা করতে না দিয়ে জোর করে তাদের বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পর দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে সমগ্র ফুরফুরা জুড়ে।