লাকি কুপন বা টসের মাধ্যমে বাজিমাত বিজেপির। পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদের দখল নিল গেরুয়া শিবির। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল বিধানসভার লক্ষ্যা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ১৫ বছর পর ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে উঠল গেরুয়ার ঝড়। ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ৮টি ও তৃণমূলের ঝুলিতে যায় বাকি ৮টি। ফলে ড্র হয়ে যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের দ্বিতীয় দিনে ট্রসে জিতে প্রধান ও উপপ্রধান পদ দখল করল বিজেপি। প্রধান হলেন কেয়া চক্রবর্তী ও উপপ্রধান অনন্ত বেরা। এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর শাসকদল তৃণমূলের হাত থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল। যদিও আগামীদিনে উন্নয়নের কাজে বিজেপিকে সহায়তা করা হবে বলেই জানিয়েছে তৃণমূল।
এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সোমনাথ বক্সী বলেন,’মানুষের জয় হয়েছে, মানুষ আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তৃণমূল যে ধরণের সন্ত্রাস ও আচরণ মানুষের প্রতি করেছে তার উত্তর পেয়েছে। আজকের দিনে আমার জয়লাভ করেছি। আমার যদি আরও খাটতে পারতাম বা ভুলগুলো সংশোধন করতে পারতাম, তাহলে টসের মাধ্যমে না, মানুষ ভোট দিয়েই আমাদের জেতাতো। আমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ব, সেটা মানুষ আগামীদিনে বুঝতে পারবে, ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের পরিষেবার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে। সাধারণ মানুষের কাজের জন্য আমরা এসেছি, আমরা তাদের আশীর্বাদ নিয়ে তাদের সেবা করব।’
এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সোমনাথ বক্সী বলেন,’মানুষের জয় হয়েছে, মানুষ আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তৃণমূল যে ধরণের সন্ত্রাস ও আচরণ মানুষের প্রতি করেছে তার উত্তর পেয়েছে। আজকের দিনে আমার জয়লাভ করেছি। আমার যদি আরও খাটতে পারতাম বা ভুলগুলো সংশোধন করতে পারতাম, তাহলে টসের মাধ্যমে না, মানুষ ভোট দিয়েই আমাদের জেতাতো। আমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ব, সেটা মানুষ আগামীদিনে বুঝতে পারবে, ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের পরিষেবার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে। সাধারণ মানুষের কাজের জন্য আমরা এসেছি, আমরা তাদের আশীর্বাদ নিয়ে তাদের সেবা করব।’
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে সুভাষ জানা বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েতে ৮-৮ জয়লাভ করেছিলাম। সেখানে প্রথমে নাম প্রস্তাব হয়। তারপর ভোটাভুটি হয়েছে। ভোটাভুটিতে আমার ড্র করেছি। এরপর লাকি কুপনের মাধ্যমে হয়েছে। প্রধান-উপপ্রধান দুটোই বিজেপি পেয়েছে। খারাপ তো লাগবেই, প্রচণ্ড খারাপ লাগছে। যেখানে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজ করছে, সেখানে আমাদের বিরোধী আসনে বসতে হচ্ছে, বেদনাদায়ক, এর থেকে খারাপ অনুভূতি কিছু হতে পারে না। টসে হেরে গেলাম। আগামীদিনে আমারই কাজ করবে। আমার সহযোগিতা করব, উন্নয়নের দিকে কোনও বাধা দেব না। কাজের নিরিখে আমার এগিয়ে থাকব। প্রধান-উপপ্রাধান ওদের হলেও, পঞ্চায়েত সমিতি-জেলা পরিষদ আমাদের আছে, চেষ্টা করব কাজ করার জন্য।’