এদিন রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ” হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া আদালতের নজরদারিতে তদন্তের জন্য গঠন করা সিটের (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দল) সদস্যদের কি ইচ্ছেমতো বদল করা যায়? সেক্ষেত্রে এখানে কী ভাবে তা হল?”
বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে CID-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। SSC খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো CID-র খোঁজার কথা।”
এদিন বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, “CID-র গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনায় বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এই ঘটনা আসার পর CBI তদন্তের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত CID-তে তদন্তভার তুলে দিয়েছিল। সেটা নিশ্চয়ই আদালত ভুল করেনি। এখন আদালতের উদ্বেগ, এখনও এই লোকগুলো কী করে বেতন পাচ্ছে? শুধু কাগজে কলমে দয়া করে তদন্ত শেষ করবেন না।”
বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। একদিন হয়ে গিয়েছে। CID-কে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।”
পাশাপাশি তদন্তকারীদের সতর্কও করে আদালত। হাইকোর্ট জানায়, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি তদন্তে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ হতে আদালত না দেখে সেক্ষেত্রে সিট সদস্যরা ‘বিপদে পড়তে পারেন’।
বিচারপতি এদিন বলেন, “১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।
উল্লেখ্য, পরীক্ষায় না বসেই নিয়োগপত্র জাল করে সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি করার অভিযোগ ওঠে অনিমেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা তথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে। যদিও আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত।