Road Accident : দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে নাতি, সেলাই করে দিন! – child body was separated from the waist by an accident in bardhaman


এই সময়, কাটোয়া: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কোমর থেকে দু’টুকরো হয়ে গেল একরত্তি শিশুর দেহ। একটি অংশ এক বৃদ্ধের কোলে, আর এক অংশ কোলে নিয়ে বসে রয়েছেন এক প্রৌঢ়া। বৃদ্ধ চিকিৎসককে বলছেন, ‘আমার নাতি দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে, একটু সেলাই করে দিন না!’–বুধবার সন্ধ্যায় এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী হলেন কাটোয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সরা। সকাল বিকেল জীবন-মৃত্যু নিয়ে যাঁদের কাজ, এমন দৃশ্যে শিহরিত হয়ে ওঠেন তাঁরাও। চিকিৎসক ইন্দ্রনীল মল্লিক বলেন, ‘এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। অকল্পনীয় এই পরিস্থিতির সামনে আগে পড়তেও হয়নি।’

Hooghly News: নির্মীয়মান লিফট ছিঁড়ে পড়ে চন্দননগর মাল্টিপ্লেক্সে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
দুর্ঘটনায় মৃত ওই শিশুর নাম চন্দন হালদার (৫)। বুধবার দুপুরে কাটোয়া থানা এলাকার অগ্রদ্বীপ গোপীনাথতলার চন্দন ঠাকুমা পারুল হালদারের সঙ্গে পাড়ার একটি বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যায়। সেখান থেকে বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুমার হাত ধরে বাড়ি ফিরছিল চন্দন। ওই সময় অগ্রদ্বীপ ঘাট থেকে বাবলাডাঙা যাওয়ার রাস্তায় একটি ইঞ্জিন ভ্যান ধাক্কা মারে চন্দনকে। ঠাকুমার হাত থেকে সে ছিটকে পড়ে রাস্তায়। ভ্যান কিছুটা এগিয়ে গেলে দেখা যায়, চন্দনের দেহ কোমরের কাছ থেকে দু’টুকরো অবস্থায় রাস্তায় পড়ে।

Hooghly News : রক্ত চেটে খাচ্ছে কুকুর! রাজ্যের সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিডিয়ো ভাইরাল
কাছেই পুলিশ ক্যাম্প থেকে সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে যান এলাকায়। তড়িঘড়ি চন্দনকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়। সম্পর্কে দাদু অর্জুন হালদার ও এক পিসি চন্দনের দেহের দুই টুকরো বুকে আগলে হাসপাতালে পৌঁছন। অর্জুন বলেন, ‘হাসপাতালে ঢোকার সময়েও আমার নাতি কথা বলছিল।’ হাসপাতালে এসেই চিকিৎসকের কাছে ছোট্ট চন্দনের শরীর জুড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন বৃদ্ধ। তবে চিকিৎসক আগেই মৃত ঘোষণা করেন চন্দনকে। কী ভাবে শিশুটির দেহ দু’টুকরো হলো তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ইঞ্জিন ভ্যানের চাকা ও রাস্তার ঘর্ষণের জেরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক ইঞ্জিন ভ্যানের চালক। পুলিশ তার খোঁজ করছে।

Nadia News Today : বেহালার পর পলাশিপাড়া, শিশুকে ধাক্কা মেরে ৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে গেল গাড়ি! ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা
চন্দনের বাবা আদিত্য হালদার গয়নার কাজ করতেন জয়পুরে। অগ্রদ্বীপে ফিরে তিনি এখন মাছ ধরে সংসার চালান। ছেলের এমন পরিণতি শুনে তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন চন্দনের মা চম্পা হালদার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *