আপাতত বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ১৭ আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছিল BJP। তাদের আসন সংখ্যা ৯। অপরদিকে তৃণমূল পেয়েছে ৭ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ১ টি আসন। এই বিষয়ে BJP-র জেলা কমিটির সদস্য ভোলানাথ বর্মন বলেন, ‘এই গ্রাম পঞ্চায়েতে BJP সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছি।
তৃণমূল এখানে বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সেকারনে প্রতিহিংসাবশত তাঁরা BJP কাগজপত্র ছিঁড়ে দিয়েছে। যতক্ষন না পর্যন্ত আমরা বোর্ড গঠন করতে পারছে ততক্ষন আন্দোলন চালিয়ে যাবে BJP’। তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের আগে থেকে এখানে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল।
কিন্তু BJP কর্মীরা তা রুখে দিয়েছেন। ভোটে আমরাই জিতেছি। আর সেই কারণে এখন বোর্ড গঠনের সময়ে ওদের সব আক্রোশ গিয়ে পড়েছে BJP- উপর। ওরা চেষ্টা করছে যাতে BJP বোর্ড গঠন না করতে পারে। এই বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করেছি’।
যদিও সমস্ত বিষয় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘এগুলি মিথ্যে অভিযোগ। আসলে BJP নিজেদের ভিতরের দ্বন্দ্বের কাছে বোর্ড গঠন করতে পারছে না। তাই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নিজেদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপাচ্ছে’।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই জয়ী দুই নির্দল প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরে। ইসলামপুরের গোবিন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতে মোট ২৩ টি আসন।
এখানে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল ইসলাম ও ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক দিতে পারেননি নেতৃত্ব। কাজেই এই পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এই দুই তৃণমূল কর্মী। আর তাঁদের অপহরণে উঠে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব।