WB Panchayat Election 2023 : বোর্ড গঠনে বিলম্ব ‘ডোন্ট কেয়ার’! গাঁটের টাকা নিয়ে ‘উন্নয়ন’ শুরু TMC পঞ্চায়েত সদস্যের – uttar 24 pargana trinamool congress panchayat member spent personal money for development work


রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে ইতি। জেলা জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য, প্রধান-উপপ্রধানদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দিতে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা এবার ধরা পড়ল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি।

যেমন কথা তেমন কাজ। বোর্ড গঠন যেদিন হবে তবে দেখা যাবে, আগে কাজ। কারণ এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে তাঁকেই তো আশীর্বাদ করেছেন। ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন। নির্বাচন মিটতেই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে গ্রাম জুড়ে এলইডি লাইট বসাচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্য। ভোটের পরে বোর্ড গঠনের আগেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য রাজিবুল ইসলাম। এতে খুশি গ্রামবাসীরা।

Uttar 24 Pargana : ভোটের আগে উন্নয়নের বুলি ছুটলেও বদলায় না পরিস্থিতি! সাইকেল কাঁধে তুলে আজও রাস্তা পার দেগঙ্গায়
বারাসত ২ নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌমুহা গ্রামে ভোট-প্রচারে এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন ভোটে জিতে এসে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলাকার অন্ধকার দূর করতে মাঠে নেমে পড়েছেন রাজিবুল। গ্রামের রাস্তায় বসানো হচ্ছে আলো। গ্রামবাসীদের দাবি, রাত হলেই বাড়ে পোকামাকড়ের উপদ্রব। অন্ধকারে যাতায়াত করতে সমস্যা হয় গ্রামের মহিলাদের। সেই সব সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই গ্রাম জুড়ে বসানো হয়েছে প্রায় ৪০টির বেশি এলইডি লাইট।

লাইট লাগানোর পাশাপাশি গ্রামের কাঁচা রাস্তায ইট ও মোরাম দিয়ে তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে রাস্তার সবটাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে তৈরি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন রাজিবুল। নতুন পঞ্চায়েত সদস্যর কাজ দেখে এলাকার মানুষও যথেষ্ট খুশি। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই মতোই কাজ করেছেন নতুন পঞ্চায়েত সদস্য রাজিবুল ইসলাম।

Panchayat Election 2023: শাসনের দাদপুর পঞ্চায়েত কার? জয়ী ২ প্রার্থীর নাম করে পোস্টার এলাকায়, ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত
জামাল উদ্দিন নামে স্থানীয় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের এখানে রাস্তায় কোনও লাইট ছিল না। ভোট দাঁড়ানোর সময় সে রাস্তা ও আলোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে কথা মতো নিজের পকেটের টাকা খরচ করে গ্রামের সব পোস্টে লাইট লাগানো হচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষ এতে শুবই খুশি।’

CPIM West Bengal: এক দশক পর উড়ল লাল আবির, কেশবচকে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন CPIM-এর
অন্যদিকে রাজিবুল বলেন, ‘ভোটে দাঁড়ানোর সময় গ্রামের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। বোর্ড গঠন কবে হবে অপেক্ষা করে লাভ নেই। সেই কারণ আমি নিজের টাকা খরচ করে রাস্তার আলো লাগানোর কাজ শুরু করেছি। এতে আমার ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *