বোর্ড গঠনের সময় দেখা গেল যে বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান পদে মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বিজেপি জয়ী প্রার্থীরা বেরিয়ে এসে বলেন যে আমরা পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে জিতেছি. তবে আমাদের প্রধান ও উপপ্রধান পদপ্রার্থীকে আট জন ভোট দিয়েছে। বিজেপির দাবি, কারা তাদের গোপন ভোট তা অজানা।
পূর্ব মেদিনীপুর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা। সেখানে তৃণমূল-বিজেপি ‘সমঝোতা’-র অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একই সঙ্গে জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করেছে। ১৪ আসনের বিষ্ণুবাড় ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট হয়। এই নির্বাচনে সেখানে বিজেপি জয়লাভ করে পাঁচটি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীরা তিনটি করে আসনে জয়ী হন। সিপিএম সমর্থিত নির্দল তিনটিতে আসনে জয় লাভ করে। বোর্ড গঠন করার সময় দেখা যায় যে বিজেপির প্রধান প্রার্থী আটটি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে সিপিএমের প্রধান পদপ্রার্থী ৬টি ভোট পেয়েছে। এই নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ মাইতি বলেন, ‘তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ১৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। তৃণমূল ৩টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু আমরা এদিন ভিতরে থাকলেও আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম। সিপিএম তৃণমূলর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এই সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
প্রধান হিসেবে নির্বাচিত বিজেপির সরস্বতী জানা দিন্ডা বলেন, ‘আমরা এই পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছি। আমি জানি না, তৃণমূল আমাদের ভোট দিয়েছে কি না। গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছে। আমরা জিতেছি এটাই সব থেকে বড় কথা। কে সমর্থন করল সেটা নিয়ে এখনই আমরা ভাবছি না।’
অন্যদিকে সিপিএমের তরফে বলেন, ‘আমরা এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু তৃণমূল বিজেপি ১৯ লাখ টাকা গোপন আতাঁত করেছে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের মতো অবস্থা। সেই কারণে একসঙ্গে তাঁরা বোর্ড গঠন করেছে। মোদী-দিদি যে এক, এই ঘটনায় আরও একবার তা প্রমাণিত হল।’