সেই মামলায়তেই এবার সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যেভাবে এগিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তা সঠিক নয়। শনিবার এই রায়ই দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিঃসন্দেহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বড় জয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
শনিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পদক্ষেপকে ‘অতিসক্রিয়তা’ বলে বর্ণনা করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারত্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠানো ও পর্যবেক্ষক নিয়োগের যে পদক্ষেপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন করেছে তা সংবিধান পরিপন্থী। অতি সক্রিয়তায় দেখিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর জেলায় জেলায় সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনা সামনে আসতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা জানানো হয়। NHRC জানিয়ে দেয় কমিশনের ডিজি (তদন্ত) বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন ও কমিশনের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন। এমনকী ভোট ঘোষণা হওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা হয় আদালতে। শুনানির পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া নোটিশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি আরও জানিয়ে দেন, কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে পারবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই রায় বহাল রইল, যা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জন্য স্বস্তির বলেই মনে করা হচ্ছে।